রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বোমাবাজির নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
সমীরণ পাল, ব্য়ারাকপুর: বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরের আর্দালিবাজারে। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে তিন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে বোমাবাজির ছবি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বোমাবাজির নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
উল্লেখ্য, আজই সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামে উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করল বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। দুবরাজপুরের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ খুনের মামলায় মূল সাক্ষীর বাড়িতে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল সাহাপুর গ্রাম। গতকাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০টা তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি, সাহাপুর সংলগ্ন তুরুপগড়িহাট গ্রামে গতকাল এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
চলতি সপ্তাহে একের পর এক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে, ৯ জুলাই নারকেলডাঙার বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিন রাত ১০ টা নাগাদ ষষ্ঠীতলা রোডের একটি বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়িটি। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে ছিলেন রয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। কী কারণে এই বোমাবাজি তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। সেগুলি ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
তার আগে ৮ ও ৯ জুলাই মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। গভীর রাতে নোয়াপাড়ার ঘোষপাড়া রোডের পিনকল মোড়ের কাছে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আর ভোরের আলো ফোটার আগেই ভাটপাড়ার রামনগর কলোনিতে বোমাবাজি হয়। একটি বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। দুষ্কৃতীদের দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। উত্তর ২৪ পরগণার এই জোড়া বোমাবাজির ঘটনায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাদের মধ্য়ে আতঙ্ক ছড়ায়। জোড়া বোমাবাজির ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।