বেহাল ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, মৃত্যুফাঁদের ওপর দিয়েই যাতায়াত গাড়ি-অ্যাম্বুলেন্সের
নামেই জাতীয় সড়ক। কিন্তু হাল বর্ষায় গ্রামের মেঠো রাস্তার মতো। বৃষ্টি শুরু হতেই রাস্তার পিচ থেকে আলগা হয়ে গিয়েছে পাথর। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর সেইসব গর্তে বৃষ্টির জল জমে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, নলহাটি: বীরভূমের নলহাটি থেকে মোরগ্রাম, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের হাল বেহাল। পিচ থেকে আলগা হয়ে গিয়েছে পাথর। বড় বড় গর্তে জমেছে জল। আর এর ওপর দিয়েই চলছে মালবাহী গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স! কিন্তু কবে এই রাস্তার সংস্কার হবে, তা নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
নামেই জাতীয় সড়ক। কিন্তু হাল বর্ষায় গ্রামের মেঠো রাস্তার মতো। বৃষ্টি শুরু হতেই রাস্তার পিচ থেকে আলগা হয়ে গিয়েছে পাথর। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর সেইসব গর্তে বৃষ্টির জল জমে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। উপায় না থাকায়, তার ওপর থেকেই চলছে বড় বড় মালবাহী গাড়ি।
ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্সও চলছে এ রাস্তা দিয়েই। বীরভূমের নলহাটি থেকে মোরগ্রাম, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার বর্তমান চেহারা এটাই। স্থানীয়দের অভিযোগ, যে রাস্তা যেতে আধঘণ্টা সময় লাগে, তাই এখন লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
নলহাটির বাসিন্দা মহিবুল রহমান জানিয়েছেন, খারাপ রাস্তায় প্রতিনিয়ত গাড়ি নিয়ে ছুটতে হচ্ছে। তাতে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে, বলছেন চালকরা।
গাড়িচালকরা বলছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার এ নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাহলে কবে হবে বেহাল রাস্তার সংস্কার? যোগাযোগ করা হলেও, এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
একই ছবি বাঁকুড়ার রাইপুর থেকে সারেঙ্গা যাওয়ার রাজ্যসড়কে। যেন পদে পদে মৃত্যুফাঁদ! দীর্ঘদিন দাবি জানিয়েও হয়নি সংস্কার। ফলে বেহাল রাস্তায় প্রাণহাতে নিয়েই যাতায়াত! দ্রুত মেরামতির আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার রাইপুর থেকে বাসুদেবপুর-বাগজাতা হয়ে সারেঙ্গাগামী রাজ্য সড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই এরকম!!! মালবাহী বা যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, বাধ্য হয়ে সব গাড়িই চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। ফলে একদিকে যেমন দুর্ভোগ বাড়ছে, তেমনই দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা