তুতো দাদার সঙ্গে বোনের ‘সম্পর্ক’? হুগলির একই পরিবারের ৪ জনের আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য
হুগলি: একই পরিবারের চার জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। এক ঘরে ‘আত্মঘাতী’ মা-বাবা-দিদি-ভাই। নেপথ্যে পরিবারের সম্মান না অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে হুগলির চণ্ডীতলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার সকালে জনাইয়ের মালিপাড়ায় একটি ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে একই পরিবারের চার জনের দেহ। মৃতরা হলেন-- পেশায় রাজমিস্ত্রি রবীন পণ্ডিত ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা পণ্ডিত। এবং তাদের ছেলে সুশোভন এবং মেয়ে সুস্মিতা। কিন্তু, কেন এ ভাবে একই পরিবারে চার জন নিজেদের শেষ করে দিল? এ নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। পুলিশ সূত্রে দাবি, আঠেরোর কাছাকাছি সুশোভনের হাতে লেখা ছিল-- 'আমাদের এই পরিণতির জন্য দায়ী ছোট পিসির ছেলে রঞ্জন পণ্ডিত।' কিন্তু, কেন পিসির ছেলের দিকে অভিযোগের আঙুল? পুলিশ সূত্রে দাবি, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, অবিবাহিত সুস্মিতা গর্ভবতী ছিলেন। সুস্মিতার কাকার দাবি, রঞ্জনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে সুস্মিতা। সত্যিই কি পিসতুতো দাদার সঙ্গেই তাঁর কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল? তাই পরিবারের সম্মানের কথা ভেবেই কি সবাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? যে পিসির ছেলের দিকে অভিযোগের আঙুল, সেই রঞ্জন পণ্ডিতকে গ্রেফতার করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বছর আঠাশের এই যুবক স্বীকার করেছেন, মামার মেয়ে (সুস্মিতা)র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সহবাসও করেছেন। মামার পরিবার এসব জানত না। যখন জানাজানি হয়, তখন থেকেই অশান্তি শুরু। ধৃতের মা অবশ্য দাবি করছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।