Suvendu Adhikari: "আমরা দুই ভাই একসঙ্গে কাজ করব..", মেদিনীপুরে অমিতের সভায় বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু, সঙ্গে সুনীলও, খবর সূত্রের
আপাতত দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল শুভেন্দুর
কলকাতা: মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুনীল মণ্ডল। তার আগে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল, খবর সূত্রের।
"আমরা দুই ভাই, একসঙ্গে কাজ করব। বাংলায় গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করব। প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করব।" সুনীল মণ্ডল সহ তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতাদের বৈঠকে জানিয়েছেন শুভেন্দু, খবর সূত্রের।
প্রসঙ্গত, গতকালই দলীয় নেতৃত্বকে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আর বিধানসভায় ইস্তফা দিয়েই সোজা বিদ্রোহী তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে পৌঁছে যান শুভেন্দু।
শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান কার্যত সময়ের অপেক্ষা মাত্র, এমনটাই দাবি নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে। তবে মঙ্গলবার থেকে জল্পনা জোরাল হয় যে শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সুনীল মণ্ডলও।
মঙ্গলবারের পর বুধবার সকালে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ। বর্ধমান পূর্ব আসনের তৃণমূল সাংসদ বলেন, দিদি যেটা বলছেন তা হচ্ছে না, বাস্তব বিপরীত হচ্ছে, অরূপ বিশ্বাস মিটিংয়ে প্রকাশ্যে বিধয়াককে ধমক দিলেন, অথচ দেখা গেল তাঁকে আরও পদ দেওয়া হচ্ছে, দলে যারা তোলাবাজি করে তারা ভাল পদ পায়।
তৃণমূল সাংসদ হুঁশিয়ারি দেন, নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের টিমের কথা তিনি শুনবেন না। আর তা শুনেই ফের একবার পিকের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। বলেন, একটা বাচ্চা ছেলে এসে বলছে মিছিল করতে হবে, বেতনভুক্ত কর্মচারীর কথা শুনে মিটিং করতে হচ্ছে, এটা শোভনীয় নয়, ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ জয় অসম্ভব।
এরইমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুনীল মণ্ডলের পোস্টার ঘিরেও জল্পনা তীব্র হয়। বুধবার সকালে পোস্টার দেখা যায় কাঁকসা থানার সামনে ও সাংসদের বাড়ির আশপাশে। প্রতিক্রিয়ায় সুনীল বলেন, এসব মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থার প্রকাশ।
২০১১ সালে প্রবল তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও গলসি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন সুনীল মণ্ডল। পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তাঁকে পূর্ব বর্ধমান কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। সিপিএম প্রার্থীকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৭৯ ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন সুনীল।
২০১৯-এর ভোটেও তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন তিনি। কিন্তু, জয়ের ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৮৯ হাজার ৮১৯।