এসআই অমিতাভ মালিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডিকে দিল রাজ্য
দার্জিলিং: অমিতাভ মালিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। পুলিশকর্তাদের ভূমিকাতেও প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। সিআইডিকে তদন্তভার দিল রাজ্য। সোমবারই সরকারিভাবে অমিতাভ মালিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে তারা। গত ১৩ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে সিংলার জঙ্গলে প্রায় দু ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে গুরুঙ্গপন্থীদের গুলির লড়াই চলে। সেই লড়াইয়ে প্রাণ হারান এসআই অমিতাভ মালিক। ঘটনার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। এই প্রেক্ষিতেই তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিল রাজ্য। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছ থেকে কেস ডায়েরি হাতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার সিআইডি-র এক আধিকারিক দার্জিলিং সদর থানায় আসেন। সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা দেখতে চান, যে ৩২ জন পুলিশকর্মী ওই অভিযানে সামিল ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা কী ছিল? অমিতাভ মালিকের মৃত্যু ঠিক কোন পরিস্থিতিতে হয়েছিল? গুলি কোন দিক থেকে এসেছিল, তাও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং ইউএপিএতে অভিযুক্ত মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ আগেই বার্তা দিয়েছেন ৩০ অক্টোবর তিনি প্রকাশ্যে আসবেন। পুলিশের দাবি, পাহাড়ের লোকের তুলনায় ডুয়ার্সের ১৬টি পরিবার বিমল গুরুঙ্গকে বেশি সাহায্য করছে। ওই পরিবারগুলির শিশুদের স্কুলে ভর্তি করাতে সাহায্য করেছিলেন গুরুঙ্গ। গুরুঙ্গকে এখনও ধরা না গেলেও এদিন কালিম্পঙ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই গুরুঙ্গপন্থী নেতাকে। ধৃতদের নাম অম্বরবাহাদুর নেওয়ার ওরফে ডম্বর প্রধান এবং সুজিত তামাং। পাহাড়ে অশান্তি চলাকালীন, কালিম্পঙে এনবিএসটিসির অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পুলিশের সন্দেহ, সম্প্রতি সিকিম সীমানার কাছে মুলখোরকার জঙ্গলে গুরুঙ্গপন্থীদের যে গোপন বৈঠক হয়, সেখানেও উপস্থিত ছিলেন এরা। অন্যদিকে, নতুন বোর্ড গঠনের দাবিতে সোমবার মহকুমা শাসক ও পুরসভার এক্সিকিটিভ অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন দার্জিলিং পুরিসভার কাউন্সিলররা।