Covid19 Update: আতঙ্কের নাম ডেল্টা প্লাস, রাজ্যে সাত দেশ থেকে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক
বাংলাদেশ,চিন,মরিশাস,নিউজিল্যান্ড,দক্ষিণ আফ্রিকা,জিম্বাবোয়ে ও বতসোয়ানা-এই সাত দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ পাওয়া গেছে।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: সাত দেশে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ। ওই সব দেশ থেকে এলে বিমানবন্দরেই করোনার আরটিপিসিআর (RTPCR) পরীক্ষা করা হবে। যাত্রীদের নিজেদের খরচে পরীক্ষা করতে হবে। না হলে যেতে হবে, সিএনসিআইয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে। জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্ট। বাংলাদেশ,চিন,মরিশাস,নিউজিল্যান্ড,দক্ষিণ আফ্রিকা,জিম্বাবোয়ে ও বতসোয়ানা-এই সাত দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ পাওয়া গেছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে ডেল্টা প্লাস বিপজ্জনক হতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে, এইসব দেশ থেকে যাঁরা কলকাতায় আসছেন, তাঁদের নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সম্প্রতি কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই সব দেশ থেকে যাঁরা আসবেন, বিমানবন্দরে তাঁদের RTPCR পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে, আক্রান্তকে কোভিড হাসপাতাল বা সেফ হোমে পাঠানো হবে।আর, রিপোর্ট নেগেটিভ এলে, অনুমতি দেওয়া হবে গন্তব্যে যাওয়ার।বুধবার থেকেই এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।
এদিকে, মাস পেরোলেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব, দুর্গাপুজো। আর পুজোর আগেই, করোনার থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।এই প্রেক্ষাপটে করোনা সংক্রমণের হার ও গতিবিধি নিয়ে করা রাজ্য সরকারের সমীক্ষায়, একইসঙ্গে উঠে এল আশা ও উদ্বেগের কথা। রাজ্যের ২০টি জেলায় চালানো এই সমীক্ষায় একদিকে দেখা গেছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১.৬ শতাংশ থেকে কমে ১.২ শতাংশে নেমেছে। অপরদিকে ৪টি জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সম্পর্কে সামনে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি হলে, তা উদ্বেগজনক এবং সেই জেলার পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৬ থেকে ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত, রাজ্যের ২০টি জেলায় যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৭.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.২ শতাংশ।পূর্ব মেদিনীপুরে যেখানে দ্বিতীয় সমীক্ষায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৫.৯ শতাংশ ছিল, তা তৃতীয় সমীক্ষায় কমে হয়েছে ৩.৮ শতাংশ। জলপাইগুড়িতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.৬ শতাংশ। এছাড়াও তৃতীয় সমীক্ষায় ৩.১ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দেখা গিয়েছে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলাতে।
যে তিন জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি, সেখানেই রাজ্যের উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেখানে আগের থেকে সংক্রমণের হার কমলেও, সামনেই পুজো! ফলে আশঙ্কা, ভিড় বাড়লে পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যাবে না তো?
রাজ্য সরকারের এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ১.৩৪ শতাংশই হলেন এমন ব্যক্তি, যাঁরা এখনও ভ্যাকসিন নেননি!অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা এক শতাংশেরও কম।