Suvendu Adhikari Update: দুই বিধায়কের দলবদল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর, বললেন ‘শেষ দেখে ছাড়ব’
তিনি বলেছেন, ২০১১ থেকে প্রায় ৫০ জন বিরোধী বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তখনকার বিরোধী দলগুলি (বাম ও কংগ্রেস) ওই দলত্যাগগুলিকে গুরুত্ব দেয়নি।
কলকাতা: পরপর দুদিনের বিজেপির দুই বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এই ঘটনা ঘিরে আরও একবার রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিজেপি বুধবার বলেছে, দুই দলত্যাগী বিধায়ককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদিন বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, যেভাবে আমরা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি এবং তাঁর দলত্যাগের বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, সেইভাবেই আমরা তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিৎ দাসকে অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানাতে নোটিশ জারি করেছি। ৭দিনের মধ্যে ২ দলত্যাগী বিধায়ককে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দলত্যাগ সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসকেও তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, ২০১১ থেকে প্রায় ৫০ জন বিরোধী বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তখনকার বিরোধী দলগুলি (বাম ও কংগ্রেস) ওই দলত্যাগগুলিকে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে বলতে পারি, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে এর শেষ দেখে ছাড়ব।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছেন, ওই দুই বিধায়ক গত কয়েকমাস ধরেই শাসক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন। শাসক দলকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘২১৩টি আসনে জেতার পরেও আরও আসন চায় তৃণমূল। দলের সঙ্গে সম্পর্কহীন ২জন বিধায়ককে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। দলত্যাগ বিরোধী আইন না মেনে ২ বিধায়ককে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। কর্পোরেট হাউসে পরিষদীয় মন্ত্রী, বিধানসভার দলনেতা যোগদান করালেন।’
স্বার্থ বজায় রাখতে তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে ফিরেছেন বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, ‘রেশন, আবগারি ব্যবসা ঠিক রাখার জন্য তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে ফিরেছেন’।
শুভেন্দু বলেছেন, ‘মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পিএসির একটি বৈঠকেও হাজির হননি মুকুল রায়। এক্ষেত্রে তৃণমূলের মনোভাব হচ্ছে, ‘অর্থাৎ বরাদ্দ আমরাই করব, খরচ আমরাই করব, হিসেব থাকবে না’।
শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউ়ড়িকে নিয়েও তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ দিবসে আমরা নিচুতলার পুলিশকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু বাঁকুড়ার বিভিন্ন পুলিশ অফিসাররা তৃণমূলকে সাহায্য করছে। ‘চন্দনা বাউড়ির মতো একজন প্রান্তিক মহিলার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হচ্ছে। চন্দনাকে সরাসরি বলছে, তোমাকে তৃণমূলে যেতে হবে। কিন্তু চন্দনা মাথা নত করেননি। কিন্তু ব্যবসার স্বার্থে আত্মসমর্পণ করেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।