আউশগ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে বিস্ফোরণ, থমথমে গোটা এলাকা,মুখে কুলুপ গ্রামবাসীদের
আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) : সামনের রবিবার সাত পুরসভায় ভোট। ঠিক তার আগের রবিবার বড়সড় বিস্ফোরণ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। সূত্রের খবর, রবিবার, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, পিচকুড়ি বুথ কমিটির তৃণমূল সভাপতি, আব্বাসউদ্দিন, দলের কয়েকজনকে নিয়ে পার্টি অফিসে বৈঠক করছিলেন। ঠিক সেই সময় জোড়াল বিস্ফোরণ। ধূলিসাৎ হয়ে যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসটি। এই বিস্ফোরণ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিও কেঁপে উঠেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, খাগড়াগড়, পিংলার মতো ঘটনা। এর পিছনে মনে হচ্ছে বড় চক্রান্ত হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের দ্বারা সম্ভব নয়। এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। মঙ্গলবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দলের এই পিচকুড়ি গ্রামে যাওয়ার কথা। সিপিএমও তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি। দলের বর্ধমান গ্রামীণ জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ভিতরে তৃণমূল বোমা বাঁধছিল। পার্টি অফিসের পাশে বিদ্যুতের তারে দেহ ঝুলতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য পার্টি অফিসের মধ্যে বিস্ফোরণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তারা পাল্টা সিপিএমের দিকে আঙুল তুলছে। দলের পর্যবেক্ষক (আউশগ্রাম) অনুব্রত মণ্ডল বলেন, কী করে জানলেন যে দেহ ঝুলছে? উনি কি ছিলেন? জানলে কেন পুলিশকে খবর দিলেন না? বাইরে থেকে ঝোলা ভর্তি করে সিপিএমের লোকেরা পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে। পাল্টা সিপিএম খোঁচা দিয়ে বলছে, সামনে ভোট, তাই কি বোমা বাঁধা শুরু! রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, এ শুধুমাত্র বিরোধীদের মারার জন্য নয়, নিজের দলেও যারা বিরোধী আছে, তাদের মারার জন্য বোমা...এনআইএ তদন্তের দাবি করছি। বিস্ফোরণের প্রায় একুশ ঘণ্টা পর, এ দিন সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। উদ্ধার হয় সুতলি, লোহার কাটা পাইপের টুকরো, পাথড়ের টুকরো, রাসয়নিক এবং কীটনাশক।