![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতি ও সন্তানের দেহ, 'ছেলের মৃত্যুর জন্য স্বামী দায়ী নয়', মিলেছে সুইসাইড নোটও
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতি ও সন্তানের দেহ, 'ছেলের মৃত্যুর জন্য স্বামী দায়ী নয়', মিলেছে সুইসাইড নোটও
![বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতি ও সন্তানের দেহ, 'ছেলের মৃত্যুর জন্য স্বামী দায়ী নয়', মিলেছে সুইসাইড নোটও Body of couple and child rescued from locked house, 'husband not responsible for son's death', also found suicide note বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতি ও সন্তানের দেহ, 'ছেলের মৃত্যুর জন্য স্বামী দায়ী নয়', মিলেছে সুইসাইড নোটও](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/06/01/425a07379f42bf3dad6ac8a9fbe22bdd_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
হাবড়া: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রী ও ৮ বছরের সন্তানের মৃতদেহ। প্রতিবেশীদের সন্দেহ, ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে পুলিশের দাবি, ঘর থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট। কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাবড়ায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রী ও ও ৮ বছরের সন্তানের মৃতদেহ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খাটে পড়েছিল স্বামী ও ৮ বছরের ছেলের মৃতদেহ!
দু’জনেরই মুখ থেকে গ্যাজলা বের হচ্ছিল। পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল স্ত্রী শম্পার দেহ।
প্রতিবেশীদের দাবি, মৃত দম্পতির এটা দ্বিতীয় বিয়ে। বছর দেড়েক আগে, পেশায় ফুল ব্যবসায়ী প্রকাশ বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শম্পা। সম্প্রতি ওই ব্যবসায়ীর জ্বর আসে। ছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। প্রতিবেশীদের সন্দেহ, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে কী করোনার ভয় কোনও ভাবে কাজ করেছে?
মৃত ব্যবসায়ীর প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বাবা-মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটা করেছে। এই বউকে এনে এক-দেড় বছর হল এই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। বলেছিল শ্বাসকষ্ট রয়েছে.। করোনা আক্রান্ত ছিল, বিছানা থেকে উঠতেই পারছিল না।
পুলিশের দাবি, ঘর থেকে মৃত গৃহবধূর লেখা একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। তাতে লেখা রয়েছে, 'আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী দায়ী নয়। শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা চলছিল। তার জন্যই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।' একই দাবি হাবড়ার পুর প্রশাসকেরও।
হাবড়া পুরসভার প্রশাসক নীলিমেশ দাস জানিয়েছে, একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, পারিবারিক অশান্তির কথা উল্লেখ করেছে। বিবাহ নিয়েও সমস্যা ছিল, তদন্তেই জানা যাবে। কোভিড পজিটিভ এরকম কোনও রিপোর্ট আমরা পাইনি। তবে যে মারা গেছে তাঁর জ্বর ছিল। পারিবারিক অশান্তির কথা জানতে পেরেছি।
মৃতের বাবা, জানিয়েছেন, দু’বছর ধরে আমরা এখানে আসিনি। ছেলের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছিল। আমায় মারধর করত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্বামী ও সন্তানকে কীটনাশক খাইয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)