(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Malda Bus conductor: হরিশ্চন্দ্রপুরে বাস কনডাক্টরকে ‘মারধর’, অভিযুক্ত টিএমসিপি-র ব্লক সভাপতি
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ, কাউকে মারধর করা হয়নি। যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে আমি ছিলাম না। কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
করুণাময় সিংহ, মালদা: মিছিলের জন্য বাসভাড়া নিয়ে বিবাদের জের, বাসের কনডাক্টরকে মারধরের অভিযোগে নাম জড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল ছাত্র নেতার। প্রতিবাদে চাঁচল-মালদা বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেন বাস মালিক ও কর্মীরা। মারধরের অভিযোগ ওড়ালেন শাসক নেতা। এই জন্যই সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন তৃণমূল, কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷
মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল চাঁচল-মালদা বাস পরিষেবা। সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী। এক বাসযাত্রীর কথায়, বাস বন্ধ সমস্যায় পড়েছি, এখন গাড়ি করে রুট ভেঙে ভেঙে যেতে হবে৷
মালদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার সমর্থনে সোমবার মালদা শহরে মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এর জন্য বাস ভাড়া নেওয়া হয়। অভিযোগ, বাসের ভাড়া নিয়ে এক কনডাক্টরের সঙ্গে বিবাদে জড়ান হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের টিএমসিপি সভাপতি বিমান ঝা। বাস কনডাক্টরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বাস কন্ডাক্টর নবীন মণ্ডলের কথায়, কম ভাড়া দিচ্ছিল, প্রতিবাদ করায় মারধর করে তৃণমূল নেতা বিমান ঝা।
এ নিয়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার চাঁচল-মালদা রুটে বাস পরিষেবা বন্ধ রাখেন বাস মালিকরা। এক বাস মালিকের কথায়, তৃণমূল তাদের মিছিলের জন্য বাস নেয়, ভাড়া নিয়ে বিবাদ, তারপর মারামারি। প্রতিবাদে বাস বন্ধ রেখেছি আমরা।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ, কাউকে মারধর করা হয়নি। যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে আমি ছিলাম না। কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ভোটের মুখে এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। মালদার বিজেপি সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেছেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি, তোলাবাজি কাটমানি মারধর। এই জন্যই মানুষের থেকে এরা বিচ্ছিন্ন৷ অন্যদিকে জেলার তৃণমূল কো অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের কথায়, অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না, আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
গতবছর দশমীর দিন সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারধরের অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় গ্রেফতারও হন তিনি। এবার বাস কনডাক্টরকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক-নেতার বিরুদ্ধে।