![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Bengal Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের রায় কাল
কাল সকাল ১১ টায় মামলার রায় রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
![Bengal Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের রায় কাল Calcutta High Court to deliver verdict on Bengal Post Poll violence case Tomorrow 19 August Bengal Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের রায় কাল](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/22/20f6ae740c3d4acff000632fb216faea_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগামীকাল রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। কাল সকাল ১১ টায় মামলার রায় রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি হরিশ টন্ডন,বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বৃহত্তর বেঞ্চে কাল রায় জানানো হবে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে একাধিক পিটিশনের শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। গত ১৮ জুন এই মামলায় হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১৩ জুলাই কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। রিপোর্টে রাজ্য সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করা হয়। পাল্টা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টকে মিথ্যে, পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে খারিজ করে দেওয়া হয়।
ভোটের ফল বেরোনোর পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটি। যার নেপথ্যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। আর এই প্রেক্ষাপটেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে, কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারও জানিয়ে দিয়েছে, মামলার তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রস্তুত।
শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর বলেন, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে, আদালত যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় তাহলে আমরা তদন্ত করতে প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সাহায্য করতেও প্রস্তুত।আদালত যদি চায় তাহলে এনআইএ অথবা সিবিআইকেও তদন্তভার দিতে পারে।
উল্টোদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটির রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন তোলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র আইনজীবীর অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, আমরা এই কমিটির দু তিনজন সদস্যের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছি। স্বাভাবিকভাবই বোঝা যায় যে এরা পক্ষপাতদুষ্ট। যদি একজন সদস্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে, তাহলেই এই রিপোর্ট খারিজ করে দেওয়া উচিত এবং এই রিপোর্টকে কলুষিত বলে আখ্যা দেওয়া উচিত।
এরপর তিনি আরও বলেন, ৯ জুলাই এই কমিটির সদস্য আতিফ রশিদ একজন পুলিশ সুপারের সাথে কথোপকথনের ভিডিও তার টুইটার হ্যান্ডেল-এ আপলোড করেছিলেন। ১৩ ই জুলাই কমিটি তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়। কমিটির মনোভাব ৯ জুলাইয়ের ওই কথোপকথন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই কমিটির অপর একজন সদস্য শ্রীমতি দেশাই সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। সেজন্যই পক্ষপাতিত্বের উপযুক্ত কারণ রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে কেন্দ্রের আইনজীবীকে বিচারপতি ইন্দপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, আদালতের সামনে যে রিপোর্ট পেশ হয়েছে সেখানে সব অভিযোগ আছে। রাজ্য জানিয়েছে অনেক অভিযোগেই কোন অপরাধের উল্লেখ নেই। এই মুহূর্তে সব এফআইআর-ই রাজ্য পুলিশের কাছে আছে। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার এটা কি উপযুক্ত সময় ?
এরপরই মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়। রায়দান স্থগিত রাখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)