Mohammed Shami: ১৪ মাস পর ভারতীয় দলে যোগ দিয়েই ইডেনে আগুন শামির, ইংরেজদের ঘায়েল করতে পারবেন?
Eden Gardens: ইডেনে রবিবার শামির বোলিং আশা জাগাল। সঙ্গে রেখে গেল উদ্বেগও। খানিকটা রোলার কোস্টার রাইডের মতো। এই উঠবে, তো এই পড়বে। সারাক্ষণ বুক ধুকপুক করবে সওয়ারির।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) বাড়ির দেওয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারে কি ১৯ তারিখটা লাল কালিতে গোল পাকিয়ে রাখলেন কেউ?
১৯ নভেম্বর, ২০১৯। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষবার ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন মহম্মদ শামি।
তারপর ফের এক ১৯ তারিখ। ১৯ জানুয়ারি। তবে বছরটা ২০২৫। ১৪ মাস পর ফের ভারতীয় নেটে বল করলেন মহম্মদ শামি। ১৪ মাস যেন শামির কাছে এক যুগের সমান। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। কী আশ্চর্য সমাপতন যে, যখন দলে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন, তাঁর দিকেই ফের যাবতীয় প্রচারের আলো। যশপ্রীত বুমরা নেই। শামির হাতেই দলের পেস বোলিং আক্রমণের ব্যাটন।
ইডেনে রবিবার শামির বোলিং আশা জাগাল। সঙ্গে রেখে গেল উদ্বেগও। খানিকটা রোলার কোস্টার রাইডের মতো। এই উঠবে, তো এই পড়বে। সারাক্ষণ বুক ধুকপুক করবে সওয়ারির।
রবিবার ইডেনে ভারতীয় দলের অনুশীলন ছিল বিকেল সাড়ে চারটে থেকে। ভারতের টিমবাস যখন ইডেনের সামনে এসে দাঁড়াল, ঘড়ির কাঁটায় ৩টে বেজে ৫০ মিনিট। বাস থেকে একে একে নেমে এলেন কোচ গৌতম গম্ভীর, হার্দিক পাণ্ড্য, সূর্যকুমার যাদব, রিঙ্কু সিংহরা। শামি নামলেন। পরনে ভারতীয় দলের নতুন প্র্যাক্টিস জার্সি ও শর্টস। তবে বেশি করে নজর কাড়ল বাঁ পায়ের হাঁটুতে জড়ানো মোটা স্ট্র্যাপ। গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পর ফিট হয়ে ওঠা শামির কাছে হাঁটুই এখন সবচেয়ে বড় কাঁটা। তাই বাড়তি সতর্কতা।
ভারতীয় দলের বাকি ক্রিকেটারেরা যখন মাঠে প্রবেশ করলেন, শামি হেঁটে গেলেন ইডেনের ইন্ডোরের দিকে। পরিচিতদের দেখে হাত মেলালেন। সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় দলের ট্রেনার। প্রায় আধঘণ্টা জিমে সময় কাটালেন। তাঁর রিহ্যাবের অঙ্গ।
তারপর মাঠে নেমে নেটে প্রথমে ছোট রান আপে বল করলেন শামি। তারপর চলে গেলেন মূল পিচের পাশের ওপেন উইকেটে। সেখানে বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের তত্ত্বাবধানে বোলিং করলেন। তারপর ফের নেটে। এবার পুরো রান আপে বোলিং করলেন। তারপর ফের ওপেন উইকেটে। এবার লেংথ বোলিং। সব মিলিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। বলের গতিও বেশ নজর কাড়ল।
তবে ক্লাব হাউসের লোয়ার টিয়ার থেকে দেখতে দেখতে কয়েকটি অস্বস্তিকর প্রশ্নও উঠে পড়ল। যেমন, শামির বাঁ পায়ের হাঁটুর চোট কি পুরো সেরেছে? যখনই দাঁড়াচ্ছিলেন, তাঁকে কার্যত এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছিল। মাঝে ধ্রুব জুরেল বেশ কয়েকটি বল ওড়ালেন। শামির ওজনও কিছুটা বেড়েছে বলে খালি চোখেই ধরা পড়ছে।
বুধবার ম্যাচে শামি কী করবেন? ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশ-পরিস্থিতিতে একা হাতে ইংল্যান্ড দুর্গ ছারখার করে দিতে পারেন। তবে টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সুপারফিট থাকতে পারবেন কি না, খচখচানি কিন্তু রয়ে গেল।
আরও পড়ুন: হিটম্যান যখন ক্যাপ্টেন হট! কেন বারবার মেজাজ হারালেন রোহিত?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
