বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও নয়, এটা আসলে বেটি তাড়াও, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব রাজ্যপালকে
কলকাতা: কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। কন্যাশ্রীর সাফল্য নিয়ে নাম না করে জবাব দিলেন রাজ্যপালকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর চেয়ে নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’কে কার্যত এগিয়ে রেখেছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী! বলেছিলেন, কন্যাশ্রী লিমিটেড ফিনান্সিয়াল হেল্প, কিন্তু, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও দেশের উন্নয়নে কাজ, দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩ দিন পর বহরমপুরের সভায় নাম না করে যেন তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, কেউ কেউ বলছেন বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, এটা আসলে বেটি তাড়াও প্রকল্প! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তুলনায় কেন কন্যাশ্রী এগিয়ে, তা বোঝাতে গিয়ে তুলে ধরলেন একের পর এক পরিসংখ্যান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৩০ কোটি দেশবাসী আর ওদের বাজেট ১০০ কোটি। একটা রাজ্য ৩ কোটি। ইতিমধ্যেই আমরা ৫ হাজার কোটি খরচ করেছি। প্রতি বছর ১২০০ কোটি টাকা খরচ হয় কন্যাশ্রী প্রকল্প। আগে কাজ শিখুন পরে বড় বড় কথা বলবেন। শুধু কন্যাশ্রীই নয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের চেয়ে তৃণমূল সরকার অনেক এগিয়ে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে চিকিৎসা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি মডেল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, টোল প্লাজায় সেনা নামানো হোক কিংবা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, নবান্ন-রাজভবনের সংঘাতে নয়া মাত্রা কন্যাশ্রী বনাম বেটি-র তরজায়!