Coal Smuggling Scam: লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চেয়ে আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের
ভোটের মুখে বেআইনি কয়লাপাচার কাণ্ড নিয়ে তেড়েফুঁড়ে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। বেআইনি ভাবে কয়লা পাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আগেই জারি করা হয়েছিল। এবার পলাতক ব্যবসায়ী লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানাল সিবিআই।
প্রকাশ সিনহা,কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে পলাতক ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানাল সিবিআই। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ওই আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রোজভ্যালির সাউথসিটি আবাসনের দুটি ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
ভোটের মুখে বেআইনি কয়লাপাচার কাণ্ড নিয়ে তেড়েফুঁড়ে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। বেআইনি ভাবে কয়লা পাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আগেই জারি করা হয়েছিল। এবার পলাতক ব্যবসায়ী লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানাল সিবিআই।
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ওই আবেদন জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বাংলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যে থাকা লালার একাধিক সম্পত্তির তালিকা আবেদনপত্রের সঙ্গে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালা-মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বড় জয় পেয়েছিল সিবিআই। কয়লাকাণ্ডে সিবিআই যাতে কড়া পদক্ষেপ না নিতে পারে, তার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালা। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্যের যে কোনও জায়গায় গিয়ে তদন্ত চালাতে সিবিআইকে ছাড় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বারবার সিবিআই তলব করা সত্ত্বেও এখনও ফেরার রয়েছেন লালা। ইতিমধ্যেই তাঁর সল্টলেক ও পুরুলিয়ার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কিন্তু,তাঁর খোঁজ মেলেনি। এই অবস্থায় লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানাল সিবিআই।
এদিকে, সাউথসিটি আবাসনে রোজভ্যালির দুটি ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এতদিন যেখানে থাকতেন শুভ্রা কুণ্ডু এবং গৌতম কুণ্ডুর মা।
সম্প্রতি রোজভ্যালিকাণ্ডে শুভ্রা কুণ্ডকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই অবস্থায় ইডির অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে সাউথসিটির দুটি ফ্ল্যাটে অফিস চালানো হত।
এছাড়াও, রোজভ্যালির একাধিক সম্পত্তি খালি করতে বলেছে ইডি। এবার সবগুলি সম্পত্তিই নিজেদের দখলে নিতে চায় ইডি! সূত্রের খবর, ইডির সদর দফতর থেকে এব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়। তারপরই সক্রিয় হন ইডির কলকাতার তদন্তকারীরা।