"অশোভনীয় বা দৃষ্টিকটূ পোশাক পরে প্রবেশ নয়," রাজপুর সোনারপুর পুরসভায় ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক
নোটিসের নীচে কোনও আধিকারিকের সই না থাকলেও পুর প্রশাসকের দাবি, পুরসভার তরফেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে।
রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভায় পোশাক ফতোয়া নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। পুরসভার রাজপুর দফতরে নোটিস দেওয়া হয়েছে, অশোভন বা দৃষ্টিকটূ পোশাক পরে পুরসভায় প্রবেশ করা যাবে না। নোটিসের নীচে কোনও আধিকারিকের সই নেই। যদিও এই নোটিস প্রসঙ্গে পুর প্রশাসকের দাবি, পুরসভার তরফেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। পুর প্রশাসকের দাবি, অনেকেই কাজের জন্য আসেন পুরসভায়। তাঁদের নানারকম পোশাক। কিছুদিন আগে পোশাক নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদও হয় পুর কর্মীদের। তার জেরেই এই নোটিস। এদিকে পুর কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতির অভিযোগ, পুরসভা পরিষেবা দেওয়ার কাজ না করে তালিবানি শাসন চালানো হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার রাজপুর কার্যালয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু মানুষ বার্মুন্ডা, হাফপ্যান্ট পরে কার্যালয়ে আসছেন বিভিন্ন রকম নাগরিক পরিষেবা নিতে। সেই অবস্থাতেই অনেকে চেয়ারে বসে পায়ের ওপর পা তুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন। তাতে শুধু পুর কর্মীদের নয়, পরিষেবা নিতে আসা অন্যান্য মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের অস্বস্তি বাড়ছে। সেকারণেই এই ফতোয়া। হ্যাফপ্যান্ট বা বার্মুন্ডা পরে আসা নাগারিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে গেটের দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা।
পুরসভার এই সিদ্ধান্তে আক্রমণ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (পূর্ব) বিজেপির সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “পুরসভা কর্তৃপক্ষ এভাবে পোশাক ফতোয়া দিতে পারে না। তালিবানিরা এমন ফতোয়া দেয়। বরং পুরসভা নিজের কাজটা ঠিক করে করুক। কীভাবে জমা জল বার করা যায়, এলাকার উন্নয়ন করা যায় সেদিকে নজর দিক।“ বিরোধীদের মন্তব্যকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিদ্রুপ করে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, “এমন কিছু পোশাক না পরেই আসা উচিত যা দৃষ্টিকটূ লাগে। আগামীদিনে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এমন উদ্যোগ নিয়েছে।“