Cremation on Covid19: করোনা আতঙ্কে কাজ ফেলে বেপাত্তা ডোম! শ্মশানে মৃতদেহের ভিড়
দাহ করার জন্য কেউ নেই, শ্মশানের গেটে তালা!
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: একের পর এক মৃতদেহ জমা হচ্ছে। অথচ একটা মৃতদেহও সৎকার হচ্ছে না! শ্মশানের গেটে তালা। দাহ করার জন্য কেউ নেই!
করোনাকালে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে ভয়ঙ্কর জটিলতার ছবি ধরা পড়েছে জলপাইগুড়ি শহরের মাষকলাইবাড়ি শ্মশানে। এক মৃতের আত্মীয় বললেন, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শ্মশানে বসে। মাসি মারা গিয়েছেন। জানাল গতকাল তিনটে করোনার বডি পোড়ানো হয়েছে। কর্মীরা তারপর থেকে নেই। আমরা বসে রয়েছি।
করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃতদেহ সৎকার নিয়েই যত জটিলতা। জলপাইগুড়িতে এতদিন পর্যন্ত মৃত করোনা রোগীদের সৎকার হোত শুধুমাত্র সাহডাঙি শ্মশানে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানে এখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে। চিতার আগুন নিভছে না। মৃতদেহের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের মৃতদেহ মাষকলাইবাড়ি শ্মশানে সৎকারের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মাষকলাইবাড়ি শ্মশানে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃতদেহ দাহ করা হয়।
অভিযোগ, তারপর থেকেই শ্মশানের ডোম পবন পাসোয়ান তাঁর পরিবার নিয়ে করোনা আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন। শ্মশানের বাকি ডোমেরাও দাহকার্য থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ মৃতদেহ সৎকারের জন্য আসা মানুষজন মাষকলাইবাড়ি শ্মশানে চরম সমস্যার মুখে পড়েন। আরেক মৃতের আত্মীয় বলেন, কোভিড পেশেন্ট দাহ করা হয়েছে এখানে। সতকারের জন্য কেউ নেই। প্রশাসনের দেখা উচিত। বডি নিয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকা সম্ভব নয়। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
জলপাইগুড়ি পুরসভার আধিকারিকরা মাষকলাইবাড়ি শ্মশানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। প্রশাসক মণ্ডলী সদস্য সন্দীপ মাহাত বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে ডিএমের অনুমতিতেই এটা করা হয়েছে। গতকাল রাতে করোনার বডি দাহ হয়েছে। এখানে ডোম যাঁরা আছেন, তাঁরা কাজ করতে চাইছেন না। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে ব্যাপারটা মেটাবার চেষ্টা করছি। এখন থেকে মাষকলাইবাড়ি শ্মশানেও করোনার বডি দাহ হবে।
ভয়ঙ্কর এই সমস্যা কত তাড়াতাড়ি মেটে, তার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন সৎকারের অপেক্ষায় পড়ে থাকা মৃতদের আত্মীয় পরিজনরা।