হোটেলে থাকতে দরকার জোড়া টিকা, নেগেটিভ রিপোর্ট, এবার নির্দেশ পুরুলিয়া প্রশাসনের
করোনা আবহে প্রায় ২ বছর ধরে ভাঁটা পড়েছে পুরুলিয়া জেলার পর্যটন শিল্পে । এর জেরে মার খাচ্ছে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হোটেল ব্যবসা ।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া : করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। ইতিমধ্যে বিধিনিষেধে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এরইমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন স্থলগুলিতে পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থলগুলি করোনাবিধি নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেই পথে এবার হাঁটল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনও।
কোভিড মোকাবিলায় আজ থেকে পুরুলিয়ার হোটেলে ব্যবসায়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট অথবা কোভিড টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ ছাড়া হোটেলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। অর্থাৎ, যাঁদের করোনা টিকার দুটি ডোজই নেওয়া হয়েছে এবং যাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ দেখাতে পারবেন, তাঁরাই হোটেলে থাকতে পারবেন।
করোনা আবহে প্রায় ২ বছর ধরে ভাঁটা পড়েছে পুরুলিয়া জেলার পর্যটন শিল্পে । এর জেরে মার খাচ্ছে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হোটেল ব্যবসা । পরিস্থিতির শিকার হয়ে মাথায় হাত পড়েছে হোটেল মালিকদের। আর তাই ব্যবসা ধরে রাখতে রাজ্য সরকারের সহায়তা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা । যদিও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করে কিছু পর্যটক পা বাড়াচ্ছেন পুরুলিয়ায় । কিন্তু হোটেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের করোনা বিধিনিষেধ জারি থাকায় সমস্যায় পড়েছেন তারা । একদিকে রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিন পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় হচ্ছে করোনা টেস্ট । তার উপর একের পর এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ অথবা কোভিড টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ ছাড়া হোটেলে প্রবেশ নিষেধ । সবে মিলে নাজেহাল সাধারণ মানুষ । ক্ষতির মুখে পড়ছে হোটেল ব্যবসা । জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকা শিথিল করার আর্জি জানিয়েছেন হোটেল ম্যানেজার, হোটেল মালিক থেকে সাধারণ মানুষ।
কিন্তু করোনা সংক্রমণের প্রকোপ আটকাতে প্রশাসন এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এর আগে দার্জিলিং , দিঘা , বীরভূমের পর বকখালিতেও এ ধরনের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট না থাকলে মিলছে না পর্যটন কেন্দ্রে ঢোকার ছাড়পত্র। নিয়মের একই কড়াকড়ি পুরুলিয়ার পার্শ্ববর্তী বীরভূম, বাঁকুড়ায় আগেই জারি হয়েছে।