এক্সপ্লোর
লোকাল ট্রেন বন্ধ, অনেক স্টেশনে স্টাফ স্পেশালে সওয়ার যাত্রীরা, ভিড়ের চোটে শিকেয় দূরত্ববিধি
লোকাল ট্রেন বললে, যে কোনও নিত্যযাত্রীর চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভিড়ের যে ছবি, তাতে একজনের গায়ের ওপর আরেকজন, একজনের পায়ের ওপর আরেকজনের পা! বিপজ্জনকভাবে ট্রেনের গেটে ঝুলছেন কেউ কেউ!

কলকাতা:লোকাল ট্রেন বললে, যে কোনও নিত্যযাত্রীর চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভিড়ের যে ছবি, তাতে একজনের গায়ের ওপর আরেকজন, একজনের পায়ের ওপর আরেকজনের পা! বিপজ্জনকভাবে ট্রেনের গেটে ঝুলছেন কেউ কেউ! তবে করোনা-আবহের আগের নয়, সোমবারেই ভিড়ে ঠাসাঠাসির ছবি ধরা পড়ল। আর যে ট্রেনে এই ভিড় তা রেলকর্মীদের জন্য বিশেষ ট্রেন বা স্টাফ স্পেশালের। কিন্তু, এই ভিড়ের সঙ্গে, প্রাক-করোনা পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেনের ভিড়ের সঙ্গে প্রায় কোনও পার্থক্যই নেই! স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে জায়গায় জায়গায় মাথাচাড়া দিচ্ছে যাত্রী-বিক্ষোভ। আর অনেক জায়গায় হুড়মুড়িয়ে স্টাফ স্পেশালে উঠেও পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। ভিড়ের চাপে সেই ট্রেনগুলির কী অবস্থা হচ্ছে, তা সরেজমিনে দেখতে একটি স্টাফ স্পেশালে উঠেছিলেন আমাদের প্রতিনিধিরাও। ডায়মন্ডহারবার থেকে শিয়ালদাগামী এই স্টাফ স্পেশালটি সোমবার সকাল সাড়ে ন’টায় পৌঁছোল সোনারপুর স্টেশনে। তখনই তাতে বাদুড়ঝোলা ভিড়। করোনা-কালের আগে অফিস টাইমে যেভাবে লড়াই করে লোকাল ট্রেন উঠতে হত, করোনা-আবহে এই স্টাফ স্পেশালেও আমাদের উঠতে হল তেমনই ধাক্কাধাক্কি করে। আরও একটা স্টেশন পেরনোর পর, কোনওমতে ধাক্কাধাক্কি করে, ভিতরে ঢোকা গেল। এবার এই ছবিটা দেখুন। দূরত্ববিধির কথা ছেড়ে দিন, পা রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। এক একটি হাতলে চার-পাঁচটা হাত! যাত্রীরা চাইছেন ট্রেন চালু করুক সরকার। তাঁরা বলছেন, রুজি রোজগারের জন্য এভাবে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে শুধু রেলকর্মীদের ওঠার কথা। কিন্তু, সেখানে ভিড় আমজনতার। এই প্রশ্ন উঠতেই যাত্রীরা রোজগার কমে যাওয়া এবং বেশি টাকায় যাতায়াতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। তবে যাঁদের জন্য এই স্টাফ স্পেশাল চালানো হচ্ছে, সেই রেলকর্মীদের অনেকেই বেশ ভয়ে ভয়ে সফর করছেন। তাঁদের বক্তব্য, আগে দু’টো কামরা রিজার্ভ থাকত। এখন তাও থাকছে না। সংক্রমণ ছড়াবে। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনেরই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে সবার জন্য লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একাংশের! কারণ, প্রাক্-করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতায় লোকাল ট্রেনে দৈনিক যাত্রী-সংখ্যা ছিল ৩৫ লক্ষের মতো। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেছেন, ট্রেনে চালাতে হবে। কিন্তু, প্রয়োজন ছাড়া কাউকে উঠতে দেওয়া যাবে না। কো মরবডিটি থাকলে উঠতে দেওয়া যাবে না। সিনিয়র সিটিজেনদের উঠতে দেওয়া যাবে না। তবে সব স্টাফ স্পেশাল ট্রেনেই যে ভিড় উপচে পড়ছে তা নয়। সোমবারই বালিগঞ্জ থেকে বিবাদী বাগ গামী আরেকটি স্টাফ স্পেশালে উঠেছিলেন আমাদের প্রতিনিধিরা। সেখানে আরোহী শুধুই রেলকর্মীরা। সবাই বসেছেন দূরত্ববিধি মেনে। লোকাল ট্রেন চালু করতে হলে এটাই আদর্শ পরিস্থিতি হতে পারে। কিন্তু, প্রশ্ন হল এমনটা কি সম্ভব হবে?
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















