Uluberia: উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের দাবিতে উলুবেড়িয়া তেহট্ট হাইস্কুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল। আর তার পরেই যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে স্কুলের ওপর। ফেল করা সত্ত্বেও পাশ করানোর দাবিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্কুলের স্টাফ রুমে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের।
সুনীল হালদার, উলুবেড়িয়া: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করেছিল ওরা। আর তার পরেই যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে স্কুলের ওপর। ফেল করা সত্ত্বেও পাশ করানোর দাবিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্কুলের স্টাফ রুমে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের তেহট্ট হাই স্কুলে। বিক্ষোভরত পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রেজাল্ট বেরোনোর তারা দেখতে পায় তাদের অধিকাংশই অকৃতকার্য হয়েছে। তাদের দাবি তারা অনুত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্য নয়। কিন্তু প্র্যাক্টিকালের প্রোজেক্টে নম্বর কম নম্বর দেওয়ায় তারা ফেল করেছে। এই অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আঙুলও তোলে তাঁরা। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে তেহট্ট হাইস্কুলের স্টাফরুমে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু পড়ুয়ারা। স্কুলের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের মার্কসিট নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মার্কসিট তুলতেও অস্বীকার করে তারা। স্কুল থেকে তারা রেজাল্ট নিতেও অস্বীকার করে। শুধু পড়ুয়ারাই নয়। এমনকী তাঁদের অভিভাবকরাও একই অভিযোগ তোলেন। এমনকী সেই অভিযোগে বিক্ষোভেও পড়ুয়াদের সঙ্গে সামিল হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল মল্লিক জানান, ‘বিদ্যালয়ে মোট ৮৬ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। এদের মধ্যে ৩৭ জন পাশ করেছে ও বাকি ৪৯ জন অকৃতকার্য হয়েছে।' প্র্যাক্টিকাল প্রোজেক্ট নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রোজেক্টে নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যে যেই নম্বর পাওয়ার যোগ্য, তাকে সেই নম্বরই দেওয়া হয়েছে।'
এদিকে এই একইধরনের ঘটনা ঘটেছে এদিন নদিয়াতেও। নদিয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফল প্রকাশিত হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা। অভিযোগ, এই বছর ওই স্কুলে মোট ১৮৫ জন পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৭২ জন ফেল করে। প্রত্যেককে পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে স্কুলের শিক্ষকদের ঘেরাও করে, স্কুলের বাইরে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা।