সম্পত্তি-বিবাদের জের, ইট দিয়ে থেঁতলে দিদিকে খুনের অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে
দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ঘটনা
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সম্পত্তি-বিবাদে ভাইয়ের হাতে দিদি ‘খুন’। ইট দিয়ে থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুপুর চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযুক্ত মলয় চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ঘটনা।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। আর তার জেরেই দুর্গাপুরে দিদিকে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কথায় বলে অর্থই অনর্থের মূল। সেকথা আরও একবার প্রমাণিত হল দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপে। সম্পত্তির কাছে তুচ্ছ হল রক্তের সম্পর্কও। বাড়ি ভাগ নিয়ে দিদিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ভাই।
ধৃতের স্ত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যখন দিদি আসত তখনই গন্ডগোল হত, বাড়ি নিয়ে ঝামেলা, তারপরই আজ এরকম হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম, নুপূর চট্টোপাধ্যায়। বিবাহ সূত্রে হাওড়ায় থাকতেন। কয়েক দিন আগে বাপের বাড়ি এসেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, বাড়ির ছাদে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিদিকে খুন করে ভাই। প্রতিবেশী সজল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, খুন করে ঘরে ঢুকে ধুনো জ্বালিয়ে বসেছিল, নির্বিকার ছিল। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট তথাগত পাণ্ডে জানান, 'সম্পত্তিগত বিবাদ নিয়ে এঘটনা, গ্রেফতার করা হয়েছে'। আর এই ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীদের মনে একটাই প্রশ্ন, ছোটবেলায় যার হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো, সেই দিদিকে, কীভাবে খুন করতে পারে ভাই?
উল্লেখ্য, একই দিনে পূর্ব মেদিনীপুর একটি খুনের ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে। অনলাইন গেমের নেশায় পরিবারের সদস্যকে খুন করে যুবক। জানা যায়, অনলাইন গেম খেলা নিয়ে বকাবকি করায় দাদাকে ‘কুপিয়ে খুন’করে ওই যুবক। পাশাপাশি মা-কেও কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
শেষ নয় এখানেই, এর পরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক নিজে, পরে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। মৃতেরা হলেন সূর্যকান্ত মণ্ডল ও চন্দ্রকান্ত মণ্ডল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিযুক্ত যুবকের মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীপুর থানার সুলতানপুরে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মারাত্মক এই নেশার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে তা প্রমাণ করল পূর্ব মেদিনীপুরের একটি ঘটনা।