পুর-নির্বাচন ঘিরে তুলকালাম দুর্গাপুর, অশান্তির দায় নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা
দুর্গাপুর: পুরভোট ঘিরে তুমুল অশান্তি দুর্গাপুরে। দিনভর দেখা গেল বহিরাগতদের দাপাদাপি। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি, উঠল গুলি চালানোর অভিযোগও। অশান্তির আবহে রক্ত ঝরল পুলিশের। যাবতীয় ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে শাসক ও বিরোধী তরজা। অশান্তির সূত্রপাতটা হয় সকাল ১০টার পর। দুর্গাপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেনগেট এলাকায় হঠাৎই শোনা যায় গুলির শব্দ! তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়। ২ পুলিশ কর্মীকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে। খণ্ডযুদ্ধের মধ্যেই শুরু হয় বোমাবাজি, লাঠি, টিয়ারগ্যাস। দুর্গাপুরের কাদারোডে বেশ কয়েকটি বাইকে আগুন লাগায় দুষ্কৃতীরা। তছনছ করা হয় বুথ। বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন কয়েকজন পুলিশ কর্মী। তাঁদের রাইফেল লুঠেরও অভিযোগ ওঠে। কিছুক্ষণ পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় পুলিশের লুঠ হওয়া রাইফেল। এদিন সকাল থেকেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বহিরাগতদের দাপট ছিল চোখে পড়া মতো। ক্যামেরা দেখেই, তাদের কয়েকজন চম্পট দেয়। কেউ আবার খোলাখুলি জানিয়ে দেন, ভোট করাতেই আনা হয়েছে তাঁদের। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের ৭টি ওয়ার্ড থেকে প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে কংগ্রেস। যাবতীয় অশান্তির নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দুর্গাপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস বলেন, বিজেপির বহিরাগতরাই হামলা চালায়। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে, যারা বিক্ষোভ করছিল, তাদের গায়ে বিজেপি বলে লেখা ছিল?