Central Force Security: বিজেপির পরাজিত তারকা প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা-বিতর্ক
তনুশ্রী চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকাররা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : বিজেপির পরাজিত তারকা প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে জল্পনা। নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও তারকাদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা নিজেরাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তারকা প্রার্থীদের বেশিরভাগই হেরেছেন। তার একমাস কাটার আগেই এবার তারকাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আপাতত তুলে নেওয়া হল। যদিও সেলিব্রিটিদের দাবি, তাঁরা নিজেরাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিচ্ছেন।
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দেন টালিগঞ্জের একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী। বিজেপির প্রার্থীতালিকাতেও তারকাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটের আগে এদের প্রত্যেককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। প্রচারে বিজেপির এই তারকা প্রার্থীদের ঘিরে রাখতেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু, এতকিছুর পরও ভোটের ফলে দাগ কাটতে পারেননি কেউ।
পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, পাপিয়া অধিকারী প্রত্যেকেই তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এরপরই তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদেরই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে তারকাদের জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রয়োজন মনে করলে তাঁরা লিখিতভাবে আবেদন জানাতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'নির্বাচন শেষ। যাদের দিয়েছিল তাদের থেকে উইথড্র করে নিয়েছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন প্রয়োজন নেই মনে করছে। তারকা বলেই নিরাপত্তা আর অন্যদের জন্য অন্য নিয়ম এমনটা তো হয় না।'
এদিকে, বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন, '১৫-১৬ তারিখ আমাকে এসে বলা হল, আমরা চলে যাচ্ছি। যদি প্রয়োজন হয় লিখিত জানাবেন। এখনও কিছু জানাইনি। আমি চেতলায় মার খারওয়ার পর থেকে পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন চলে গেছে। আমি এখনই আবেদন করতে চাই না।'
অভিনেতা তনুশ্রী চক্রবর্তী যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি, তনুশ্রী এখন বাড়িতেই আছেন। তাই নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দিয়েছেন। ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি, আপাতত লকডাউনে বাড়িতেই রয়েছেন শ্রাবন্তী। তাই তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দিয়েছেন। পায়েল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে এনিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'বিজেপি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা নিয়ে নোংরামি করেছে। তারকাদের কাজ শেষ। খেল খতম তাই নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে। ওরা বুঝুক বিজেপি কেমন পার্টি।'
শুক্রবার রুদ্রনীল ঘোষের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠার পর, কালীঘাট থানায় যাওয়ার সময় অবশ্য তাঁর সঙ্গে চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে দেখা যায়।