পাহাড়ে অশান্তি অব্যাহত, জিটিএ-র ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর, বিজনবাড়ির ধোবিতলা পঞ্চায়েত অফিসে আগুন
দার্জিলিং: জিটিএ-র চুক্তিপত্র পোড়ানোর পর পাহাড়ে জিটিএ-র অফিসে আগুন। ভস্মীভূত জিটিএ-র ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের অফিস। অশান্তির রেশ গিয়ে পড়ল আরও দুটি পঞ্চায়েত অফিসেও। বিমল গুরুংয়ের হুঁশিয়ারির পর পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলন ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। মঙ্গলবারই পিঠে টিউবলাইট ভেঙে নিজেদের রক্তাক্ত করেছেন মোর্চা সমর্থকরা। দেওয়া হয়েছে আত্মাহুতির হুমকি! সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি অফিসে চোরাগোপ্তা হামলা লেগেই আছে! বুধবারও তার অন্যথা হল না! মঙ্গলবারই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় জিটিএ-র চুক্তিপত্র পুড়িয়েছিল মোর্চা। এরপর রাত থেকে ভোরের মধ্যে পরপর ২টি সরকারি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে জলাপাহাড়ে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় জিটিএ-র ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের অফিসে। কিছুক্ষণ পরেই দার্জিলিংয়ের ফুলবাজার এলাকায় রাজবাড়ি পঞ্চায়েত অফিসেও আগুন লাগে। ২টি ঘটনাতেই অভিযোগের তির মোর্চার বিরুদ্ধে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগুন লাগালেই কি অডিট বন্ধ হয়ে যাবে? এসবের ভয়েই তো করছে। যদিও, সরকারি অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে মোর্চা! দলের মুখপাত্র বিনিতা রোকা বলেন, এখন সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন, পাহাড়ে আরও অন্যান্য দল রয়েছে, আমাদের দায় চাপাচ্ছে, এটাও তো হতে পারে। এদিন সকাল থেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায়ে গণস্বাক্ষর অভিযানে নামে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য সুমিত্রা তামাঙ্গ বলেন, আগামীকাল সর্বদল বৈঠকে কোঅর্ডিনেশন কমিটির হাতে এই দাবিপুত্র তুলে দেওয়া হবে, সেই দাবি জানানো হবে কেন্দ্রীয় সরকার। পাহাড়ের শিল্পীরা ম্যালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি তোলেন। একদিকে, মোর্চার আন্দোলন..অন্যদিকে, স্তব্ধ পাহাড়ের জনজীবন। বন্ধ দোকানপাট। খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত কুটির শিল্পীরাও। সবমিলিয়ে দার্জিলিংয়ে অশান্তির মেঘ কবে কাটবে, তার কোনও দিশাই দেখা যাচ্ছে না।