এক্সপ্লোর
Advertisement
পাহাড়ে বনধে অনড় মোর্চা, গোর্খ্যাল্যান্ড আদায়ে সর্বভারতীয় সর্বদলীয় সমন্বয় কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত
দার্জিলিং: পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের বনধ চলবে। বয়কট করা হবে রাজ্য সরকারের সর্বদল বৈঠক। পাহাড়ে মোর্চার ডাকা বৈঠক শেষে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা পি অর্জুন মঙ্গলবার বলেন, পাহাড়কে যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। অনির্দিষ্ট কালের বনধ চলবে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, বনধ ও হিংসাত্মক আন্দোলনের পথ থেকে সরে এলে তবেই হবে আলোচনা।কিন্তু মঙ্গলবার ১৪টি দল ও সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করে মোর্চা বুঝিয়ে দিল, আপাতত তারা পিছু হঠছে না। উল্টে রাজ্য সরকারের ওপরই একগুচ্ছ শর্ত চাপিয়েছে তারা! যার মধ্যে অন্যতম হল সব রকম নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার! অর্জুন বলেন, বনধ পাবলিক ডিমান্ড। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যদি চান, শান্তি ফিরুক ও বনধ প্রত্যাহার হোক, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার, এই সময়কালে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার, ইন্টারনেটে আরোপ তুলতে হবে। বল এখন রাজ্য সরকারের কোর্টে। কারণ ওরাই যুদ্ধক্ষেত্র করেছে।
এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব জিটিএ থেকে মোর্চা বেরিয়ে আসবে মোর্চা। তবে ৩ বিধায়ক ও পাহাড়ের পুরসভার পদগুলি থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে এদিন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকে যখন বনধ নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন বাইরে আচমকা স্লোগান দিতে শুরু করেন বিভিন্ন দলের কর্মী ও সমর্থকরা। দাবি করেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত আগে তাঁদের জানাতে হবে, তারপর সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে। সেই দাবি মেনে নেয় মোর্চা-সহ বাকি দল ও সংগঠনগুলি। অবস্থান কড়া করতে মোর্চা এদিনও জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের সঙ্গে আলাদা করে কোনও বৈঠক তারা করবে না।
অর্জুন জানান, ২২ জুন শিলিগুড়ির সর্বদলে এই ১৪ টি দল ও সংগঠন অংশ নেবে না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না। আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রভাবে জানানো হবে।
এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একটি সর্বভারতীয় সর্বদলীয় সমন্বয় কমিটি তৈরি করা হবে। কমিটির প্রতিনিধিদল যত দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে। তৈরি করা হয়েছে একটি কোর কমিটি।
আগামী দিনে গোর্খ্যাল্যান্ড আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি, রণকৌশল নির্ধারণ করবে কমিটি।
এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা তো ছেলেমানুষি হচ্ছে। আমরা ধৈর্য ধরব। আমরা শান্তি চাই। পাহাড়বাসীদের বাঁচাতে চাই। ২২ তারিখ সর্বদল। ১৫টি বোর্ডের প্রতিনিধি থাকবে।
জিমখানা ক্লাবে মোর্চার ডাকা বৈঠকে জিএনএলএফ, হড়কা বাহাদুর ছেত্রীর দলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হিল বিজেপি ও হিল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। মিছিলে বিজেপির পতাকাও দেখা যায়।
কিন্তু, বিজেপির পাহাড়ের নেতারা উপস্থিত থাকলেও মোর্চার সমর্থনে পাহাড় থেকে জয়ী বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে এখনও কেন পাহাড়ে দেখা গেল না তাঁকে? প্রশ্নের স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বলেন, আমি দিল্লিতে বসে সেতুবন্ধনের চেষ্টা করছি। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে কথা বলচি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাচ্ছি।
মোর্চার ডাকা এদিনের বৈঠকে অবশ্য অংশ নেয়নি তৃণমূল এবং সিপিএম।
বৈঠকে দলের তিন বিধায়ক থাকলেও ১৩ তারিখের পর এদিনও আসেননি বিমল গুরুং। দিল্লিতে রয়েছেন রোশন গিরি। ঠিক হয়েছে শনিবার ফের মোর্চার ডাকে একসঙ্গে বসবে এই ১৪টি দল ও সংগঠনগুলি। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে মোর্চা যে কতটা মরিয়া, তা এদিনও স্পষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর আসার খবর পেয়ে গ্যাংটকে চলে যান মোর্চার ৩ নেতা। কিন্তু এদিন তাঁদের সঙ্গে রিজিজুর দেখা হয়নি। বৈঠক হবে বুধবার।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement