Sukhendu Sekhar Roy on Dhankhar: 'রাজ্যপাল সম্ভবত অর্ধসত্য বলছেন', ধনকড়কে আক্রমণ সুখেন্দুশেখরের
তৃণমূল সাংসদ বলেন, রাজ্যপালের হাতে কোনও ক্ষমতাই নেই, প্রশাসন চালাতে মুখ্যমন্ত্রী আছেন।’
কলকাতা: রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত নতুন মাত্রা পেল সোমবার।
এদিন পাহাড় সফরের শেষলগ্নে কলকাতায় ফেরার আগে, জিটিএ বা গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন জগদীপ ধনকড়।
বিকেলে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে যার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে, নয়ের দশকের জৈন হাওয়ালা কেসের প্রসঙ্গে টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সরাসরি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ শানান।
ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করলেন জগদীপ ধনকড়। বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে কেউ দোষী প্রমাণিত হননি। জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে চার্জশিটে কখনই রাজ্যপাল ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী যা অভিযোগ করছেন, তার কোনও সত্যতা নেই।’
এরপর রাজ্যপালের বক্তব্যকে খণ্ডন করল তৃণমূল। প্রতিক্রিয়ায় দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেন, রাজ্যপাল সম্ভবত অর্ধসত্য বলছেন।
তিনি বলেন, ‘জৈন হাওয়ালার ডায়েরিতে নাম ছিল কি না, বললেন না রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সম্ভবত অর্ধ সত্য কথা বলেছেন।
জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে চার্জশিটে নেই বললেন, নাম জড়িয়েছিল কিনা বললেন না।’
সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘দিল্লিতে গিয়ে কার সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা জানানো উচিত ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে কথা না বলায় সন্দেহের জায়গা তৈরি হয়।’
রাজ্যপালের সঙ্গে কারা দেখা করে অভিযোগ করেছেন, তালিকা প্রকাশ করার দাবিও তোলে তৃণমূল। সুখেন্দুশেখর বলেন, রাজ্যপালের হাতে কোনও ক্ষমতাই নেই, প্রশাসন চালাতে মুখ্যমন্ত্রী আছেন।’
তাঁর প্রশ্ন, ‘রাজ্য়পাল কোনও অভিযোগ পেলে, কেন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্য সরকারকে জানালেন না? তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘ক্যাগকে দিয়ে জিটিএ-র স্পেশাল অডিট করানোর কথা বলছেন। বছরে একবার জিটিএ সম্পর্কিত রিপোর্ট চাওয়ার অধিকার রাজ্যপালের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে বিধানসভায় পেশ করার কথা।’
সুখেন্দুশেখরের দাবি, ‘আইনের অপব্যাখ্যা করে শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। কোন আইনের বলে ৬টি বিমানবন্দর একজন পেয়ে যান।’
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য রাজ্যপালও দায়ী। নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে গণনা পর্যন্ত যা যা গণ্ডগোল,
ভোটের সময় হিংসার কথা বলছেন না কেন রাজ্যপাল?’
তিনি যোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।’
সুখেন্দুশেখরের কটাক্ষ, ‘ভোটের হারের দুঃখ বিজেপির চেয়ে রাজ্যপালের বেশি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন প্রকাশ্যে এনে শপথ-ভঙ্গ করছেন রাজ্যপাল।’
তাঁর দাবি, ‘রাজ্যপাল কোথা থেকে তথ্য পাচ্ছেন, তা প্রকাশ্যে আনুন। পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে আগে বলুন, কারা কত টাকা দিয়েছে।’