অশান্ত পাহাড়: পুড়ে ছাই ম্যালের ট্যুরিস্ট সেন্টার, গয়াবাড়ি স্টেশন, সুকনার সরকারি অফিস, হামলা তামাং বোর্ড-কর্তার বাড়িতে
দার্জিলিং: কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু নিভছে না পাহাড়ের অশান্তির আগুন! প্রায় প্রতিদিনই পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে কোনও না কোনও সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি! বৃহস্পতিবার কালিম্পঙে তামাং বোর্ডের চেয়ারম্যান সঞ্জয় মোকতানের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সান্দাকফু যাওয়ার পথে দার্জিলিঙের ধত্রে বনবাংলো ও কালিম্পঙে তিস্তা বন বাংলোতেও আগুন লাগানো হয়। দুধেরা রেঞ্জের সালেবঙ্গ বিট অফিসে অফিসার এবং কর্মীদের কোয়ার্টারেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি একটি রেস্ট হাউসও। আন্দোলনের আঁচে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং ম্যালের ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার। পাহাড়ে যতবার আন্দোলন হয়েছে, ততবারই অশান্তির আগুনে পুড়েছে কাঠের এই অফিস। আগুন লাগানো হয়েছে সুকনায় রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের অফিসেও। পুড়ে গিয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। গড়াবাড়ি স্টেশনও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, এটা কোনও আন্দোলন নয়, গুণ্ডামি, কেন্দ্র মুখ বুজে আছে। যদিও মোর্চা নেতৃত্বের দাবি, এই সব ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই। তিস্তা বাজার থেকে তারখোলার মধ্যে সিকিমগামী ১৩টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এক্ষেত্রেও আঙুল উঠেছে আন্দোলনকারীদের দিকে। আর এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ।