Haroa: হাড়োয়ায় ভোগান্তির ছবি, ৪ দিন লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি ভ্যাকসিন
গ্রাহকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে টানা লাইনে দাঁড়িয়ে। শুক্রবার বেলা গড়ালেও মেলেনি ভ্যাকসিন। জোগান অনুয়ায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে জানানো হয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার তরফে।
সমীরণ পাল, হাড়োয়া: ৪ দিন লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি ভ্যাকসিন। উত্তর ২৪ পরগনায় ফের ভ্যাকসিন ভোগান্তির ছবি। যদিও উলটো সাফাইও দেওয়া হয়েছে। জোগান অনুয়ায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে জানানো হয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার তরফে।
বরানগরের পর এবার হাড়োয়া। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া হাসপাতালে ভ্যাকসিন ভোগান্তির ছবি। গ্রাহকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে টানা লাইনে দাঁড়িয়ে। শুক্রবার বেলা গড়ালেও মেলেনি ভ্যাকসিন। নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি! সকাল থেকে সন্ধে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ছাতা মাথায় হাসপাতাল চত্বরে গ্রাহকদের ভিড়। গ্রাহকদের একাংশের বক্তব্য, উভয় সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। একদিকে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট না দেখালে মিলছে না কাজ। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে লাইন দিয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন।
রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নীচেই লাইন দিয়েছেন সবাই। বিশেষভাবে সক্ষম এক বৃদ্ধের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে ৩ দিন কেটে গেলেও এখনও ভ্যাকসিন পাননি তিনি। ঘটনায় বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার তরফে জানানো হয়েছে, জোগান অনুয়ায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দিন কয়েক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ভোগান্তির একই ছবি দেখা গিয়েছিল। রাজ্যে ভ্যাকসিন সঙ্কটের চিত্রটা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হাড়োয়া হাসপাতাল।
ভ্যাকিসন বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল পাণ্ডুয়া খন্যান ইটাচুনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও। ভ্যাকসিনের দাবিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় বাসিন্দারা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এমনকী, ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দু’জন। বিক্ষোভের জেরে ভ্যাকসিন দেওয়া সাময়িক বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের দাবি, বাইরে থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে অথচ স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাঁদের আরও অভিযোগ, অনেক প্রৌঢ় মানুষ আছেন অনেকে আছেন, যাঁরা বাইরে কাজে যান রোজ। তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। কিন্তু, তাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। অথচ, ইটাচুনার বাইরের অনেক লোক ভ্যাকসিন নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের দাবি, এমন লোক পাওয়া গেছে, যিনি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাইরের লোক যাঁরা পাচ্ছেন তাঁরা পেলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ইটাচুনা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।