(Source: Poll of Polls)
তালা ঝুলল হাওড়ার চেঙ্গাইলের প্রেমচাঁদ জুটমিলে, কর্মহীন ৪ হাজার শ্রমিক
আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলতে দেখেন
হাওড়া: কার্যত লকডাউনের মধ্যেই তালা ঝুলল হাওড়ার চেঙ্গাইলের প্রেমচাঁদ জুটমিলে। কর্মহীন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলতে দেখেন। নোটিসে উল্লেখ, কাঁচামালের অভাবে আপাতত বন্ধ জুটমিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আরও একটি জুটমিলে তালা ঝোলায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল আরও কিছু মানুষের ভবিষ্যৎ।
শিবপুর,ঘুসুড়ি,দাশনগর, সাঁকরাইলের পর এবার চেঙ্গাইল। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ফের হাওড়ায় বন্ধ হল জুটমিল। করোনা কালে এই নিয়ে পাঁচটি চটকলে ঝুলল তালা। কাজ হারিয়ে অথৈ জলে পড়লেন শ্রমিকরা।মঙ্গলবার চেঙ্গাইলের প্রেমচাঁদ জুটমিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেওয়া হয়। সেখানে লেখা রয়েছে, কাঁচামালের অভাবে মিল চালাতে লোকসান হচ্ছে। সেই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে জুটমিল।
কিছুদিন আগে করোনাকালে বন্ধ হওয়ার আঠাশ দিনের মাথায় বালির বিধায়কের তৎপরতায় খুলে গিয়েছিল মহাদেব জুটমিল। শ্রমিকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। এর শ্রমিক বলেছিলেন, মিল প্রায় একমাস বন্ধ ছিল। সবাই অসুবিধায় ছিল। আমরা খুশি। সবাই খুশি। সবাই কাজ পাচ্ছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচামালের অভাবের যুক্তি দেখিয়ে অনির্দিষ্টকাল কারখানা বন্ধ রাখা যাবে না। এরপরই বন্ধ জুটমিল খোলার লক্ষ্যে তৎপরতার সঙ্গে আসরে নামেন হাওড়ার বিধায়করা।
গত ১৯ মে বন্ধ হয়ে যায় বালির মহাদেব জুটমিল। ৯ জুন মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়। তার এক সপ্তাহের মাথায় খুলে যায় কারখানার দরজা।
অন্যদিকে, ১১ এপ্রিল থেকে এখনও বন্ধ পড়ে রয়েছে ঘুসুরির হনুমান জুটমিল। বালির জুটমিল খোলার খবর পেয়েই হনুমান জুটমিলের কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন হাওড়া উত্তরের বিধায়ক গৌতম চৌধুরী।
হনুমান জুটমিল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের বাকি যে দুটি জুটমিল চালু রয়েছে, সেখানে পাটের সঙ্কট নেই। কিন্তু ঘুসুরির কারখানায় কাঁচামালের অভাব মারাত্মক। জটিলতা কাটিয়ে ঘুসুরির কারখানা কবে চালু হয়, এখন সেটাই দেখার। চেঙ্গাইলের প্রেমচাঁদ জুটমিল খুলতে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে কাজ হারানো শ্রমিকরা।