ICore Chit Fund: আইকোর মামলায় এবার মানস ভুঁইয়াকে তলব করল সিবিআই
আগামীকাল সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে মানস ভুঁইয়াকে। আগামীকাল বেলা ১২টার পর মানস ভুঁইয়াকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলকাতা: আইকোর মামলায় এবার রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে তলব করল সিবিআই। এর আগে রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছিল সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার মানস ভুঁইয়াকে তলব করা হল। আগামীকাল সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে মানস ভুঁইয়াকে। আগামীকাল বেলা ১২টার পর মানস ভুঁইয়াকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, আইকোরের অনুষ্ঠানে মানস ভুঁইয়াকে দেখা গিয়েছিল। অনুষ্ঠানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানস বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। আইকোর কর্তার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল কিনা, কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা, এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
আইকোর মামলায় এর আগে শিল্পসদনে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। চিটফান্ড নিয়ে তাঁকে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। যা জানতে চেয়েছিল, সব জানিয়েছি, জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।গত ১৩ সেপ্টেম্বর ক্যামাক স্ট্রিটে শিল্পসদনে হাজির হন সিবিআই অফিসাররা। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। রেকর্ড করা হয় শিল্পমন্ত্রীর বয়ান।
এর কয়েকদিন আগেই তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, হাজিরা দিতে পারবেন না জানিয়ে, সিবিআই-কে চিঠি দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন,তিনি প্রবীণ নাগরিক।নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত আছেন। পারলে সিবিআই অফিসাররা তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। এরপরই ১৩ সেপ্টম্বর ক্যামাক স্ট্রিটে শিল্পসদনে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দফতরে হাজির হন সিবিআই অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তদন্তে আমার যদি কোনও সাহায্য লাগে নিশ্চয়ই করব। ওঁরা এসেছিলেন। সৌজন্য দেখিয়েছে সিবিআই।
সিবিআই এর দাবি, তাঁদের কাছে একটি ভিডিও ক্লিপ আছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আইকোরের অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তারই প্রেক্ষিতে সেদিন সিবিআই জানতে চায়,কেন আইকোরের অনুষ্ঠানে গেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কেন বক্তৃতা দিয়েছিলেন?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার ভূমিকা শিল্প-তথ্য প্রযুক্তিতে জোয়ার আনা। যেহেতু শিল্পমন্ত্রী ছিলাম, শিল্প্যোদোগের উদ্দেশ্য ছিল। জানতাম না চিটফাণ্ড। ওখানে গিয়ে যা বলার বলেছি। অগ্রগতির উদ্দেশ্যে বহু কোম্পানি এসেছে। আমি কী তাদের ব্যালেন্স শিট চেক করব।
সিবিআইয়ের দাবি, বেআইনিভাবে প্রায় ৩০০০ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল আইকোর। উল্লেখ্য, গত বছর এই মামলাতেই জেলবন্দী থাকা অবস্থায় ওড়িশার ঝারপড়া জেলে মৃত্যু হয় আইকোরের কর্ণধার অনুকূল মাইতির।