Cancer: ক্যানসার চিকিৎসার পাশাপাশি এবার গবেষণার উদ্যোগ রাজ্যে
Cancer: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএমে তৈরি হচ্ছে চিকিৎসা ও গবেষণাকেন্দ্র।
কলকাতা: এবার রাজ্যে ক্যানসার (Cancer) চিকিৎসার পাশাপাশি হবে গবেষণাও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএমে তৈরি হচ্ছে চিকিৎসা ও গবেষণাকেন্দ্র। টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের (Tata Memorial Centre) সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ক্যানসার চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্রের জন্য তৈরি স্টিয়ারিং কমিটি। কমিটিতে স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের অধিকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান। রয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও এসএসকেএম-এর অধিকর্তা।
টাটা মেমোরিয়ালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ক্যান্সার হাসপাতাল। ২টি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে বলে চলতি বছর জুলাই মাসে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যের ক্যান্সার আক্রান্তের ২৫ শতাংশ মুম্বইয়ে চিকিৎসার জন্য যায়। টাটা মেমোরিয়ালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসএসকেএমে ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে।’’ উত্তরবঙ্গেও একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসার পাশাপাশি এবার গবেষণা ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২ সপ্তাহে ফের ২৫ টাকা বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, আজ থেকে কলকাতায় ১৪.২ কেজি সিলিন্ডার ৯১১ টাকা
প্রতি বছর বহু মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে যান মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়ালে। তাতে ডাক্তার দেখানোর তারিখ পেতে অপেক্ষা করতে হয়। সমস্যা হয় থাকা, খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার মোট ক্যানসার রোগীর ২৫ শতাংশই মুম্বইয়ের টাটা ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। টাটা সেন্টারের যে হাসপাতাল রয়েছে সেখানে চিকিৎসা করান। কিন্তু ওখানে থাকা, খাওয়া, যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এমনকী ডাক্তার দেখানোর ডেট পেতেও ভীষণ অসুবিধা হয়। মানুষ সমস্যায় পড়েন। এই সব কথা চিন্তা করার পরে আমরা টাটা মেমোরিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। টাটা মেমোরিয়াল এবং বাংলার সরকার একসঙ্গে মু্ম্বইতে যে রকম টাটার হাসপাতাল রয়েছে তেমনই আরও দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল রাজ্যে তৈরি করা হবে। একটি এসএসকেএম হাসপাতালে, অন্যটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।“ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এই হাসপাতাল হলে বাংলার মানুষদের আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এখানেই তাঁরা ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে পারবেন। এতে তাতে সুবিধা হবে।“
আরও পড়ুন: বিদায় সম্বর্ধনার জন্য বন্ধ টিকাকরণ! ভ্যাকসিন পেতে হয়রানি পুরুলিয়ায়