Kolkata private bus service: ভাড়া না বাড়ালে চালানো যাবে না বেসরকারি বাস, দাবি মালিকদের
West Bengal Government is not ready to comply with the demand of private bus owners. | ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ভাড়া বাড়ানোর দাবি জোরাল হলেও, সরকার সেই পথে হাঁটছে না।
হিন্দোল দে, অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সমীরণ পাল, কলকাতা : এক বছরে ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১৭ টাকা। অথচ, ভাড়া বাড়েনি বাসের। মালিকদের দাবি, বিপুল পরিমাণ ঘাটতি নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। অবিলম্বে ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসরকারি বাস ভাড়া নেওয়ার ভাবনা সরকারের।
দেশের দুই মেট্রো শহরে সেঞ্চুরি পার করেছে পেট্রোলের লিটার। কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেট্রোল। এক বছরের মধ্যে কলকাতায় পেট্রোলের দামে বেড়েছে লিটারে ১৭ টাকা। ডিজেলেও বেড়েছে প্রায় ১৭ টাকা। রাজ্য সরকার বৃহস্পতিবার থেকে বাস চলাচলের অনুমতি দিলেও, ডিজেল নির্ভর বাস চালাতে নারাজ মালিকরা। জেলা থেকে কলকাতা-কার্যত হাতে গোনা বেসরকারি বাস চলছে। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে হয়রানি বাড়ছে যাত্রীদের।
বাস মালিকদের সাফ কথা, খরচ তোলার জন্য ভাড়া বাড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। এ বিষয়ে বাস মালিক দীপ্তেশ চক্রবর্তী বলছেন, ‘আমরা বাস চালাতে অপারগ। এ বিষয়ে সরকার উদাসীন। দেড় মাস ধরে বাস বসেছিল। আমরা কোনও সাবসিডি পাইনি।’
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি না হলে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়, আমরা আবেদন জানাচ্ছি বিজ্ঞানভিত্তিক ভাড়া তৈরি করা হোক।’
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ভাড়া বাড়ানোর দাবি জোরাল হলেও, রাজ্য সরকার যে সেই পথে হাঁটছে না তার ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা সমস্যাটা বুঝি। বেসরকারি বাস ভাড়া নিয়ে রাজ্য সরকার চালাতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’
কলকাতার মতো জেলায় জেলায় এদিনও দেখা যায় যাত্রী দুর্ভোগের ছবি। ব্যারাকপুর থেকে একাধিক বেসরকারি রুটের বাস এদিনও রাস্তায় নামেনি। উত্তরের শ্যামবাজার থেকে দক্ষিণের গড়িয়া, দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও, বাস না পাওয়ায় কেউ রিকশ ভ্যানে উঠলেন, কেউ আবার কোনও উপায় না দেখে হাঁটা দিলেন।
বাগুইআটি স্ট্যান্ড থেকে চারটি রুটে বেসরকারি বাস ছাড়ে। এদিনও কোনও বেসরকারি বাস পথে নামেনি। অফিস টাইমে রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। দমদমের চিড়িয়ামোড়, নাগেরবাজার থেকে উল্টোডাঙা। বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম থাকায় বাস দেখলেই ছুটছেন যাত্রীরা। বাদুড়ঝোলা অবস্থায় যেতে হয় গন্তব্যে। ফলে শিকেয় ওঠে দূরত্ববিধি। গড়িয়া ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে সরকারি বাসের দেখা মিললেও, চোখে পড়েনি বেসরকারি বাস। বাসের সংখ্যা কম থাকায় কেউ কেউ এদিন সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন গন্তব্যের দিকে।