পণ অনাদায়ে কলকাতা ও জলপাইগুড়িতে স্ত্রীকে ‘পুড়িয়ে খুন’, সর্বত্র কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ি
কলকাতা ও জলপাইগুড়ি: বিয়ের পর স্ত্রীয়ের কাছে বার বার টাকার দাবি। না পেলেই অত্যাচার। শেষমেশ পুড়িয়ে খুন। জলপাইগুড়ি থেকে একবালপুর। একই অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মালবাজারের চন্দনার চার মাস আগে বিয়ে হয় নাগরাকাটার বিজুনাথ প্রসাদের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, স্ত্রীর থেকে বার বার টাকা চাইত বিজু। না পেলেই চলত অত্যাচার। মৃতের জ্যাঠা রাধেশ্যাম প্রসাদ জানান, দিন দিন ডিমান্ড বেড়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে ভাই (মৃতের বাবা) লুকিয়ে টাকা দিত। গত ১৩ই ডিসেম্বর নির্যাতন চরমে ওঠে। অভিযোগ, চন্দনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে, তাঁকে পুড়িয়ে মারে তাঁর স্বামী। মৃত গৃহবধূর দিদি শান্তি চৌধুরী জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায়ই টাকা চাইত। তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, অভিযুক্তরা না কি হাসপাতালে জবানবন্দি দেয়, কীভাবে স্যালাইন খুলে মারা হয়েছে। তিনি এ-ও জানান, এর আগেও একজনকে অত্যাচার করে মেরেছে শ্বশুরবাড়ির পরিবার। মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চন্দনার স্বামী ও তাঁর এক বোনকে গ্রেফতার করেছে নাগরাকাটা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত আরেক ভাই ও বোন পলাতক। একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে একবালপুরেও। গুড়িয়া প্রসাদ নামে বছর আঠাশের এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। গত ১৬ অক্টোবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে মিতা মণ্ডল নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবার দাবি করে, বার বার মিতার থেকে টাকা চাইত তাঁর স্বামী। প্রায়ই নির্যাতন করত। শেষমেশ বিষ খাইয়ে খুন। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে। দুজনেই এখন জামিনে মুক্ত।