Malda: ৩ বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ইংরেজবাজারে গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের
একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল
করুণাময় সিংহ, ইংরেজবাজার: তিন বিজেপি সদস্যের দলবদলে মালদায় কোতুয়ালি গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে মালদা জেলায় বিরোধী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারের কোতুয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের তিন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাতে বদলে গিয়েছে ক্ষমতার সমীকরণ।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই এই দলবদল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোতুয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ৬টি আসন দখল করে বিজেপি। পাঁচটি আসন পায় তৃণমূল। কংগ্রেস ৪টি আসন দখল করে। তৃণমূলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস।
৩ সদস্য পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল বেছে নেওয়ায়। কোতুয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৮। ইংরেজবাজার ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভা সিংহ বলেন, এই গ্রামপঞ্চায়েতে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলাম। খুব শিগগিরই বোর্ড গঠন করব।
দলবদলে পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের। কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান তরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, আগে অনাস্থা ডাকুক। তারপর ঠিক করব, কী ব্যবস্থা নেব।
এদিকে, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে তাদের তিন সস্যকে দলবদল করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দলের রাজ্য কমিটি সদস্য সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে বিরোধী সদস্যদের দলে টানছে তৃণমূল। আদতে তৃণমূলের বড় লাভ হবে না। বিজেপিরও ক্ষতি হবে না। মানুষ বিজেপির সঙ্গে।
ইংরেজবাজার ব্লকে মোট ১১টি গ্রামপঞ্চায়েত। তার মধ্যে দুটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। তার একটি এবার হাতছাড়া হতে চলেছে।
শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসেও শুরু হয়েছে রক্তক্ষরণ। চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেস ছেড়ে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মীর আলমগির পলাশ অনুগামীদের নিয়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এবার বিধানসভা ভোটে হরিহরপাড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন মীর আলমগির। সূত্রের খবর,ফলপ্রকাশের পর ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের প্রশংসা করেন তিনি।
এর কিছুদিন পরই হরিহরপাড়ার ব্লক সভাপতির পদ থেকে আলমগিরকে অপসারিত করে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর এবার দলবল নিয়ে শাসক দলে নাম লেখালেন মীর আলমগির পলাশ।
গতমাসে, দার্জিলিংয়ে বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে পদ্মশিবির ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অনীত থাপা শিবিরে যোগ দেন এক নেতা।