২০১৯-এ মোদীর বিজয়রথ আসবে বাংলায়, মমতার গড়ে দাঁড়িয়ে ‘হুঙ্কার’ অমিত শাহর

কলকাতা ও কোচবিহার: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আসবে মোদীর বিজয়রথ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে এমনটাই ‘হুঙ্কার’ দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রেস ক্লাবে বসে। কিন্তু, বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর নজর গঙ্গার ওপাড়ে নবান্নের দিকে। আর বাংলা দখলের এই লড়াইয়ে বিজেপি ঝাঁপাবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট থেকেই। জানিয়ে রাখলেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পর দলের লক্ষ্য এবার বাংলা। তার আগে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘গড়’ ভবানীপুরে যান অমিত। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ ভবানীপুরে পৌঁছন বিজেপি সভাপতি। বিজেপির ‘বুথ চলো’ কর্মসূচিতে বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের পর ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চেতলা লকগেট বস্তি এলাকার ২৬৯ নম্বর বুথের পাঁচটি বাড়িতে যান অমিত শাহ। কথা বলেন ভোটারদের সঙ্গে। সভাও করেন। সেখানেই বলেন, ২০১৯-এ মোদীর বিজয়রথ বাংলায় আসবে। সবথেকে বেশি আসন জিতব আমরা। বিজেপির টার্গেট নিয়ে তৃণমূলের গলায় কটাক্ষের সুর। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ হবে, না ৩০১৯ হবে, জানি না। অমিত শাহ এদিন বাংলা জয়ের স্ট্র্যাটেজিও কার্যত ঠিক করে দিয়েছেন। জানিয়ে দেন, নেতারা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। যদিও, তৃণমূল এতে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেউ কেউ ভাবে মিথ্যে কথা বলে আর টাকা ছড়িয়ে হবে। মাথায় রাখতে হবে, এটা বাংলা। বাংলার মাটি শক্ত মাটি। দাঁত বসাতে গেলে দাঁত ভেঙে যাবে। পাঁজরও ভেঙে যেতে পারে। অমিত শাহ অবশ্য এদিন আগাগোড়াই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের ফল দেখার পর তাঁরা বাংলা থেকে এক মুহূর্তের জন্য নজর সরাচ্ছেন না। বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড জিতেছি। বাংলা ওড়িশায় দ্বিতীয়। এর প্রভাব বাংলাতেও পড়বে। ভুবনেশ্বরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মুখে শোনা গিয়েছিল বাংলা জয় করে বিজেপির স্বর্ণযুগ আনার কথা। আর এদিন তাঁর মুখে উঠে এসেছে সোনার বাংলার কথা। বলেছেন, সোনার বাংলা তৈরিতে বিজেপিকে সহযোগিতা করুন। কোচবিহারে দাঁড়িয়ে অমিত শাহকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। বলেছেন, বড় বড় ভাষণ। ভোটের আগে বলেছিলেন চা বাগান খুলবেন। আজ অবধি একটা অধিগ্রহণ হয়েছে? বিজেপি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্রমণেও অস্ত্র খুঁজে পাচ্ছে। অমিত শাহ বলেন, ভাল লাগছে যে বিজেপিকে অ্যাকনলেজ করছেন। আগে তো শুধু বামেদের গালিগালাজ করতেন। এখন বিজেপিকে বলছেন। মানেটা বোঝা উচিত। পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ, মানুষ সবই বোঝে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কে কাকে ভয় দেখাচ্ছে? ওদের কর্মসূচি কোথায়? মানুষ সব বোঝে। অনেকে বলছেন, রাজনীতির পারদ যেভাবে চড়ছে, দেখে মনে হচ্ছে, দু’বছর আগেই বাংলায় লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেল।






















