নিউ দিঘায় হোটেল মালিকের রহস্যমৃত্যু, বালিশ চাপা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার দেহ
পুলিশ এসে হোটেল ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে
ঋত্বিক প্রধান, নিউ দিঘা: নিউ দিঘায় হোটেল মালিকের রহস্যমৃত্যু। বালিশ চাপা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হোটেলের ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার। মৃতের নাম সুব্রত সরকার। জানা গিয়েছে, বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বছর পঁয়তাল্লিশের সুব্রত। হোটেল কর্মীদের দাবি, গতকাল রাতে খাওয়াদাওয়ার পর তাঁরা বাড়ি চলে যান। আজ ভোরে ডাকাডাকি সত্ত্বেও সাড়া না মেলায় দিঘা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে হোটেল ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর লন্ডভন্ড ছিল। প্রাথমিক তদন্তে খুন বলে অনুমান পুলিশের।
মুখে বালিশ চাপা দেওয়া। গলায় দড়ির ফাঁস। লণ্ডভণ্ড বিছানা। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হোটেল মালিকের নিথর দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে, হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। বেশিরভাগ সময়ই থাকতেন হোটেলে। কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে, দিঘায় পর্যটক না হওয়ায়, রাতে হোটেলে একাই থাকছিলেন তিনি। কর্মীদের দাবি, অন্যান্য দিনের মতোই, রাতে মালিকের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে তাঁরা বাড়ি চলে যান। সকালে এসে দেখেন, তখনও বাইরের গেটে তালা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে হোটেলের কর্মীরা ডাকেন সুব্রত সরকার নামে ওই ব্যক্তিকে। তখন সাড়া না পাওয়ায়, পার্শ্ববর্তী হোটেলের কর্মী সহ ওই হোটেলের কর্মীরা নিউ দিঘা থানায় খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায় ঘর লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গলায় দাগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে দিঘা থানার পুলিশ। হোটেল কর্মী নির্মল ঘোড়ুই বলেন, খাবার দিয়ে চলে গেছিলাম। তারপর সকালে এসে এই দেখি। আরেক হোটেল কর্মী অরুন চন্দ্রের কথায়, আমাদের এখানকার ভালো ব্যবসায়ী বলে পরিচিত। দেখে মনে হচ্ছে খুন।