Narada Case Updates: নারদকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই
চার নেতা-মন্ত্রীর গৃহবন্দি থাকার নির্দেশের বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন তদন্তকারী সংস্থার
কলকাতা: নারদকাণ্ডে এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। চার নেতা-মন্ত্রীর গৃহবন্দি থাকার নির্দেশের বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজই শুনানির আর্জি জানানো হবে।
পাশাপাশি, হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে নারদ-মামলার আজকের শুনানি স্থগিত রাখারও আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।
এদিকে, নারদ মামলায় ৪ হেভিওয়েটের জামিনের উপর স্থগিতাদেশ নিয়ে আজ হাইকোর্টে শুনানি হবে। আজ সকাল ১১টায় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে হবে মেগা শুনানি হবে।
এই বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে শুক্রবার, চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের জামিন নিয়ে মতান্তর হয় দুই বিচারপতির। ধৃতদের জামিনের পক্ষে ছিলেন বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, জামিনের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। ডিভিশন বেঞ্চ ঐক্যমত্য না হওয়ায় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। সোমবার যেখানে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
বিচারপতিদের ঐকমত্য না হলেও, শুক্রবার চার হেভিওয়েট সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ফিরহাদ হাকিম আগেই বাড়ি ফিরেছেন। শনিবার বিস্তর নাটকীয় পরিস্থিতির পর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু এখনও এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডেই রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র।
গতকাল কয়েক মুহূর্তের জন্য মদন মিত্রকে হাসপাতালের করিডরেও দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বাংলা টেলিভিশনের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী।
শনিবার এসএসকেএমে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে দিনভর বিস্তর নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষে রাতে এসএসকেএম থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার হয়ে গোলপার্কের ফ্ল্যাটে ফেরেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।
সূত্রের খবর, এই ঘটনা নিয়ে আদালতে জেল সুপার কী রিপোর্ট দেন, সেদিকে নজর রাখছে সিবিআই।