New Town Encounter Update: নিউটাউনকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুমিত কুমারের ৬ দিনের পুলিশ রিমান্ড
New Town Encounter: সুমিত ও ভরত কুমারকে সাহায্য করার অভিযোগে আটক পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরজিৎ সিংহ।
কলকাতা: নিউটাউনকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুমিত কুমারের পুলিশ রিমান্ড। ৬ দিনের পুলিশ রিমান্ড দিল পঞ্জাবের আদালত। সুমিত কুমারের দেওয়া নথি ব্যবহার করেই নিউটাউনে গ্যাংস্টারদের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া করা হয়েছিল। তদন্তে এমনই তথ্য জানা গিয়েছে।
এদিকে, নিউটাউন শ্যুটআউটকাণ্ডে এবার পুলিশ-যোগ। আটক পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরজিৎ সিংহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সুমিত কুমার ও ভরত কুমারের সঙ্গে অমরজিতের বন্ধুত্ব ছিল। অমরজিতের পুলিশের আইডি কার্ড ভরতের কাছে মিলেছে। পুলিশের দাবি, পালানোর সময় বিভিন্ন টোল প্লাজায় পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরজিৎ সিংয়ের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভরত কুমার। এমনকি গ্বালিয়রের টোল প্লাজাতেও এই আইডি কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। গাড়িতে তল্লাশি এড়াতেই এই ছক কষা হয় বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, ভরত কুমার নামে লুধিয়ানায় ধৃত ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই পঞ্জাব থেকে কলকাতায় এসেছিল গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং খাড়ার। সুমিত কুমার নামে এক ব্যক্তির নথি ব্যবহার করে, গ্যাংস্টারদের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় ভরত। চারু মার্কেট এলাকায় দুই গ্যাংস্টারের সঙ্গী ভরতের শ্বশুরবাড়ি। কলকাতার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। ২০১৮ সালে তার বিয়ে হয় কলকাতার চারু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে।
ভরতের শাশুড়ি ভারতী দেব অবশ্য জামাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি ভরত সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে বলছেন, ‘বিয়ে কবে হয়েছে জানি না। ওরা এখান থেকে চলে গেছে। মেয়েকে বলতাম, কোথায় আছিস? ও বলত, এখানে আছি, ওখানে আছি। মেয়ে ২০১৮ সালে চলে যায়। বলল, একজনের সঙ্গে থাকব, পঞ্জাবে থাকব। শেষবার মে মাসে আসে, দেখা করে চলে যায়। দু’এক ঘণ্টা ছিল। বলল, ও হোটেলে আছে, কাজে আছে। শেষবার ২৭ মে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। বলল, পঞ্জাবে আছি।’
এসটিএফ সূত্রে খবর, ২৩ মে থেকে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিল দুই গ্যাংস্টার। তার আগে ২০ মে কালো হন্ডা অ্যাকর্ড গাড়িতে দুই গ্যাংস্টারকে নিয়ে কলকাতায় আসে ভরত। ওই দিনই বিমানে কলকাতায় আসে ভরতের স্ত্রী। তারা সল্টলেকের একটি হোটেলে ওঠে।
এ বিষয়ে ভরতের স্ত্রী জানিয়েছেন, ভরত বলেছিল, ‘কলকাতায় এসো, তাই এসেছিলাম। কলকাতায় হোটেলে ছিলাম। আমরা দু’জনেই ছিলাম। ওর তো এখানে কাজ ছিল। ভিআইপি নম্বরের কাজ করে ও। কলকাতায় অনেকবার এসেছি।’
পঞ্জাব পুলিশের দাবি, ভরতের ভিআইপি মোবাইল নম্বর বিক্রির ব্যবসা ছিল। ক্রমে একাধিক প্রতারণার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে সে। এরপরেই গ্যাংস্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। অপরাধীদের মূলত লজিস্টিক সাপোর্ট দিত সে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ ভরতের স্ত্রী। তাঁর দাবি, ভরতকে ফাঁসানো হয়েছে।