(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Suvendu Adhikari:কাঁথি সমবায় ইউনিয়নে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অনাস্থা-পত্র ১১ ডিরেক্টরের
সেই সভাপতির পদ থেকে শুভেন্দুর অপসারণের জন্য ইউনিয়নের সম্পাদক হরি সাধন দাস অধিকারীর কাছে অনাস্থা পত্র জমা দিলেন সমবায় ইউনিয়নের ১১ জন ডিরেক্টর।
ঋত্বিক প্রধান,কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর অপসারণ দাবি। এই দাবিতে ইউনিয়নের সম্পাদকের কাছে অনাস্থা-পত্র জমা ১১ জন ডিরেক্টরের। ২ অগাস্ট ইউনিয়নের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, জানালেন ইউনিয়নের সম্পাদক।
কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি পদে রয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভাপতির পদ থেকে শুভেন্দুর অপসারণের জন্য ইউনিয়নের সম্পাদক হরি সাধন দাস অধিকারীর কাছে অনাস্থা পত্র জমা দিলেন সমবায় ইউনিয়নের ১১ জন ডিরেক্টর। এই ইউনিয়নের মোট ডিরেক্টরের সংখ্যা ১৪। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের স্বাক্ষর নিয়ে জমা দেওয়া হয় অনাস্থা পত্র। সম্পাদক হরি সাধন দাস অধিকারী জানিয়েছেন, আগামী ২ আগস্ট এই নিয়ে ইউনিয়নের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
এই সমবায় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ৯৫০ টি সমবায় । এই সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি পদে টানা ৯ বছর ধরে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ২ অগাস্ট শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এবার বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি মন্ত্রী ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অমিত শাহর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এর আগে কাঁথি কো-অপারেটিভ মামলায় হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারী স্বস্তি পেয়েছেন। রাজ্যের স্পেশাল অডিটের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল। নিয়ম লঙ্ঘণ করে ঋণ দেওয়া,বেআইনিভাবে কর্মী নিয়োগের মতো অভিযোগ ওঠে।
এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। । কিন্তু তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় ব্যাঙ্কের তরফে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের তরফে নিয়মিত অডিট রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। তাই এখনই কোনও স্পেশাল অডিট প্রয়োজন নেই।
পাশাপাশি মামলার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।