পণের দাবিতে ক্রমাগত অত্যাচার, বরানগরে আত্মঘাতী সদ্য বিবাহিতা
মৃতার বাবা তাপস বাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের কারণে তার মেয়ের ওপর অত্যাচার করত শ্বশুর বাড়ির লোক।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: ফের প্রকাশ্যে এল মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি। শহরে পণপ্রথার বলি হতে হল ২৬ বছর বয়সী যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগর থানার প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বরাহনগরে পাঠবাড়ি লেনের বাসিন্দা তাপস কয়ালের মেয়ে বছর ২৬-এর প্রিয়াঙ্কা কয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয় বরাহনগর প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনের অর্পণ কুণ্ডুর সঙ্গে।
মৃতার বাবা তাপস বাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের কারণে তার মেয়ের ওপর অত্যাচার করত শ্বশুর বাড়ির লোক। তাঁর আরও অভিযোগ, মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সকলেই তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। তা সহ্য না করতে পেরেই সোমবার তার মেয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বরাহনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী অর্পণ কুন্ডু ও শ্বশুর তাপস কুণ্ডুকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
গতমাসের শেষ দিকেই আরও এক গৃহবধূর আত্মহত্য়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। দুই সন্তানকে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন গৃহবধূ। দেগঙ্গার গম্ভীর গাজি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। দেড় বছরের মেয়ে ও পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ঝাঁপ দেন বছর তিরিশের গৃহবধূ। পরদিন সকালে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা। মৃতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিনে পরপর বেশ কয়েকজন গৃহবধূর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২৪ জুলাই মহিলার পচাগলা দেহ ভেসে আসে দুর্গাপুর ব্যারেজে। এদিন দুর্গাপুর ব্যারেজের ৯ নম্বর লকগেটের কাছে এক অপরিচিত মহিলার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পরই খবর দেওয়া হয় বড়জোড়া থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়জোড়া থানার পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ব্যারেজ থেকে।