DN 43 Bus Route Update: সেতু-স্বাস্থ্যের খাতিরে বাধা বাস চলাচলে, বন্ধ হতে বসেছে DN ৪৩ বাসরুট
মধ্যমগ্রাম স্টেশনের ওপর রয়েছে যে ফ্লাইওভার, তার স্বাস্থ্য তথা নিরাপত্তার জন্য বড় গাড়ি ব্রিজের উপরে উঠতে বাধা দিচ্ছে ব্রিজ কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই এই বাস রুট বন্ধ হয়ে রয়েছে।
সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম : সেতু-স্বাস্থ্য সামলাতে গিয়ে কোপ বাস চলাচলে। আর তাতেই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে বাস রুট। বারাসাত থেকে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা হয়ে সোদপুর হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যায় ডিএন৪৩ বাস। অত্যন্ত চালু ও গুরুত্বপূর্ণ বাসরুটটি লকডাউনের ধাক্কা সামলানোর পর এবার পড়েছে নতুন সমস্যা। জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম স্টেশনের ওপর রয়েছে যে ফ্লাইওভার, তার স্বাস্থ্য তথা নিরাপত্তার জন্য বড় গাড়ি ব্রিজের উপরে উঠতে বাধা দিচ্ছে ব্রিজ কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই এই বাস রুট বন্ধ হয়ে রয়েছে। বাসমালিকরা ব্রিজে বাস চলাচলে ছাড়পত্র না অন্য রুট দিয়ে চলাচলের জন্য বিভিন্ন মহলে ঘুরলেও এখনও কাটেনি জট। মধ্যমগ্রামের পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধানের জন্য বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশাসনিক স্তরে কথা বলছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর পর যখন বাস মালিকদের কাছে সরকার অনুরোধ করছে বিভিন্ন বাস রুট চালু করার জন্য। তখন ডিএন ৪৩ রুটের বাসমালিকরা বিভিন্ন অফিসে তদবির করে বেড়াচ্ছেন যে, হয় ব্রিজ খুলে দেওয়া হোক নতুবা এই বাস চালু রাখার একটা নতুন রূট দেওয়া হোক । কিন্তু এই ক্ষেত্রে সবপক্ষই এখনও পর্যন্ত নীরব। এই মুহূর্তে বাসগুলো চলাচল করছে মধ্যমগ্রাম ফ্লাইওভারের ওপারে শ্রীপুর থেকে। এর ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে বাস কর্তৃপক্ষ। বাসমালিকদের পাশাপাশি ক্ষতির মুখ দেখছেন বাসের চালক-কনডাকটররাও। তাঁদের দাবি, দিনের পর দিন এইভাবে চলতে থাকলে বাস বন্ধ করে দিতে হবে। রুটে প্রায় ২৪টির বেশি বাস রয়েছে। অর্ধেক রাস্তা কমে যাওয়ার কারণে তাঁদের রোজগার অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে মধ্যমগ্রামের পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে খবর এসেছে। এবং তিনি আপাতত শ্রীপুর থেকে চালুর ব্যবস্থা করেছেন। একই কথা বলছেন আরটিও বোর্ড মেম্বার গোপাল শেঠও। তবে বাস মালিকরা তাঁদের দাবিপূরণের জন্য একবার আরটিও অফিস থেকে জেলাশাসকের অফিসের দৌড়ে বেড়াচ্ছেন । তাঁদের আশঙ্কা, সম্পূর্ণ বাস রুট ফিরে না পেলে হয়তো বন্ধই করে দিতে ডিএন৪৩ চালানো।