North 24 Pargana: সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে খুনের অভিযোগ
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চোধুরীকে নিগ্রহ ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শাসকদের সমালোচনায় সরব বিজেপি, আইএসএফ। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত নেতার।
সমীরণ পাল ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, : উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চোধুরীকে নিগ্রহ ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের সমালোচনায় সরব বিজেপি ও আইএসএফ। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত নেতার। নিগ্রহের ঘটনা ঘটেনি, দাবি পুলিশের।
এদিন দলীয় নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে নিগ্রহ করার পাশাপাশি খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চোধুরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়ায়। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রীর দাবি, শুক্রবার ওই এলাকায় ত্রাণ দিতে গেলে তাঁকে নিগ্রহ করেন তৃণমূল নেতা ও সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। লুঠপাট করা হয় ত্রাণ। দেওয়া হয় খুনের হুমকি। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘শাহজাহানের উস্কানিতে লুঠপাট করেছে ওর লোকেরা। আমাকে ধাক্কা দেয়। বলে আমরা টিএমসির লোক। চলে যা না হলে খুন করে দেব। রাজ্যের মন্ত্রীকে যারা খুন করতে চায় তারা গুণ্ডা। এদেরকে দল থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। সিপিএমের আমলেও এমন হয়নি।’
রাজ্যের মন্ত্রীর দলীয় নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সরব হতেই শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলীয় নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে এই ঘটনা ঘটাল, তার বিরুদ্ধে বহুবার অভিযোগ করেছি। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। এখন ঝোলা থেকে বাঘ বেরিয়ে পড়েছে।’
শনিবার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ISF। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, ‘ISF বার বার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে। কিন্তু তা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খোদ মন্ত্রীর কনভয়ের ওপর হামলা প্রমাণ করে দিল পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার কতটা অবনতি ঘটেছে।’
কিন্তু যাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই শেখ শাহজাহান সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান শেখ শাহজাহান বলেন, ‘উনি মন্ত্রী। ওনার উচিত সবার জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সবার জন্য ত্রাণ তিনি নিয়ে যাননি। যাঁরা ত্রাণ পাননি তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তৃণমূল কিছু করেনি।’
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ত্রাণ বিলি নিয়ে একটা সমস্যা হয়। বাধা পেয়ে মন্ত্রী চলে আসেন। কোনও হেনস্থা বা নিগ্রহ করার ঘটনা ঘটেনি।