One nation one ration card scheme: ৩ অগাস্ট থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে 'এক দেশ এক রেশন' প্রকল্প
গত ২৯ জুনই সুপ্রিম কোর্ট দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালুর নির্দেশ দিয়েছিল
সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম (উত্তর ২৪ পরগনা): ৩ অগাস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প। শনিবার সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এই কার্ডের সাহায্যে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা রেশন তুলতে পারবেন। ভিন রাজ্যের কোনও নাগরিক এই রেশন কার্ড দেখিয়ে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে পঞ্চাশ শতাংশ রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও রেশন দোকান থেকে। জানালেন খাদ্যমন্ত্রী। মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় সকলেই এই প্রকল্পে রেশন নিতে পারবেন।
গত ২৯ জুনই সুপ্রিম কোর্ট দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালুর নির্দেশ দিয়েছিল। সময়সীমা দেওয়া হয় ৩১ জুলাই। অসংগঠিত শ্রমিকদের নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য কেন্দ্রীয় পোর্টাল তৈরিরও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শ্রমিকদের বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে। রেশন পাঠানোর ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। রাজ্য ও কেন্দ্রের উদ্দেশে যৌথ বার্তায় এমনটাই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালু হলেও বাংলায় এখনও তা শুরু হয়নি। এই বিষয়ে বহুবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতও হয়েছে। এমন অবস্থায় আগামী মাসের ৩ তারিখই রাজ্যে এই প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করা হল।
দুর্নীতি রুখতে এসএমএস সিস্টেমও চালু হচ্ছে এবার থেকে, জানান খাদ্যমন্ত্রী। রেশন তুললেই এসএমএস আসবে। এর ফলে রেশন তোলা নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠত তা অনেকটাই রোধ করা যাবে বলে বক্তব্য তাঁর।
একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে অতিমারী পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিউনিটি কিচেন চালু রাখারও নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ।