পুরুলিয়া সূচকাণ্ড: মৃত শিশুর মাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি ধৃত সনাতনের, নির্যাতনের দায় ঠেলল পুত্রবধূর দিকে
পুরুলিয়া: সাড়ে তিন বছরের শিশুর শরীরে সাতটি সূচ ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। পুরুলিয়ার ছোট্ট শিশুটির মৃত্যুর পর তিনি পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সেই উত্তরপ্রদেশে। গ্রেফতারির পরও সেই সনাতন ঠাকুরের আচার আচরণে পুলিশকর্তারা রীতিমতো বিস্মিত! পুলিশ সূত্রে দাবি, থানার লক আপে বসে তিনি নাকি এখন কীর্তন করছেন! মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ ডাউন শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে করে সনাতনকে নিয়ে আসানসোলে পৌঁছোয় পুলিশ। সেখানে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন মূল অভিযুক্ত সনাতন। ! উল্টে যাবতীয় দোষ চাপান নিজের পুত্রবধূর ঘাড়ে। তাঁর দাবি, আমি করিনি স্যার। আমি নির্দোষ। কে ঢুকিয়েছে? আমার ব্যাটার বউ ঢুকিয়েছে। কেন ঢুকিয়েছে? হিংসা, ঝঞ্ঝাট, ঝামেলার জন্য। এমনকী, মৃত শিশুর মা-কে নিজের স্ত্রী বলেও দাবি করেছেন সনাতন। রাতেই সনাতনকে পুরুলিয়া মফস্বল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, বুধবার সকালে উঠে তিনি প্রথমে স্নান করেন। চা বিস্কুট খান। তারপর লক আপে বসেই কীর্তন শুরু করে দেন। বেলার দিকে তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের বাইরে সনাতনের কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তদন্তকারীরা সনাতনকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে চাইলেও, বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃত শিশুর মায়ের সঙ্গে সনাতনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।