জলোচ্ছ্বাসের ভ্রুকুটি, ফের বাড়ি ছাড়া হওয়ার আশঙ্কা সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের
প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, চাঁদপুরের বাসিন্দারা।
ঋত্বিক প্রধান, দীঘা: নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কটালে ফের জলোচ্ছ্বাসের ভ্রুকুটি। ফের বাড়ি ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, চাঁদপুরের বাসিন্দারা।
প্রায় দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বাড়িছাড়া। সবে একে একে ত্রাণ শিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন শকুন্তলা, রাজেন্দ্ররা। কাদা-মাটি ঘেঁটে যা যেটুক পাওয়া যায়। ফের একবার সবকিছু গুছিয়ে তোলার মরিয়া চেষ্টা করছিলেন। এরই মাঝে নিম্নচাপ আর অমাবস্যার কটালে ফের জলোচ্ছ্বাসের ভ্রুকুটি। সমুদ্রতীরে প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকে প্রচার। দূর থেকে আসা এই আওয়াজই যেন ভয় আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ফের ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কা।
প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, চাঁদপুরের বাসিন্দারা। ফের যদি জল ঢুকে যায় বাড়িতে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দাবি একটাই, বাঁধটা যেন ঠিক মতো মেরামত করা হয়। চাঁদপুরের বাসিন্দা শকুন্তলা দলুই বলেন, বাড়ি-ঘর নেই, যা পেয়েছি তাই গোছাচ্ছিলাম। যদি ফের বাঁধ ভেঙে কোথায় যাব। শঙ্করপুরের বাসিন্দা রাজেন্দ্র মালির কথায়। ইয়াসের পর সব ভেসে গেছে, কাল ফিরে এসেছি, এরই মধ্যে ফের আশঙ্কা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। তার হাত ধরেই শুক্রবার বর্ষা ঢুকে পড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে রাজ্যজুড়ে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। আগামী ১১ থেকে ১৪ জুন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুত্সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও। এরইমধ্যে শুক্রবারই আসছে ভরা কটাল। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের জেরে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
গ্রামে যাতে জল না ঢোকে, তার জন্য সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ইয়াসের জেরে উপকূলবর্তী ৭২ কিলোমিটার , ৬০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত, গাছের গুড়ি ফেলে বাঁধার চেষ্টা হচ্ছে, ১১-২৬ জলোচ্ছ্বাসের প্রবণতা, এর ফলে জল যাতে গ্রামে না ঢোকে।