Kanksa News : নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে কাঁকসায় বন্ধ পাকা রাস্তা তৈরির কাজ
নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই রাস্তার কাজ করার অভিযোগে গ্রামবাসীরা পাকা রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিল। তাঁদের অভিযোগ, বড় গাড়ি পারাপার করলে আগামী দিনে নতুন রাস্তা আরও বেহাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা : পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মোবারকগঞ্জ গ্রামে ঢোকার রাস্তা দীর্ঘদিন মাটির রাস্তা ছিল। মাস তিনেক আগে এই মাটির তৈরী রাস্তার পাকা করার কাজ শুরু হয়। কাজও প্রায় শেষের মুখে, কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই রাস্তার কাজ করার অভিযোগে এবার গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে পাকা রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিলেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার কিছু অংশে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে, যে কোনও সময় ফের এই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়বে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, স্বচ্ছভাবে কাজ হচ্ছে না একেবারেই। একদিকে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে। তার উপরে বড় গাড়ি পারাপার করলে আগামী দিনে নতুন রাস্তা আরও বেহাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই বিষয়ে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছভাবে কাজ করা হোক। ১০০দিনের আওতায় ১০০ দিনের শ্রমিক নিয়ে কাজ করা হলে গ্রামের বেকার মানুষদের সুবিধা হয়। কারণ, লকডাউনে গ্রামের বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে আবার ঠিকাদারি সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, যতদিন না পর্যন্ত একশো দিনের কাজের কর্মীদের দিয়ে কাজ না করা হচ্ছে, ততদিন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ হবে না। অবিলম্বে এই একশো দিনের কাজ স্থানীয় লোকজনদের দিয়ে কাজ করানো হোক। এই দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা।
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের আবেদন ছিল, গ্রামে পাকা রাস্তা করতে হবে। সেই কাজ এখন হচ্ছে। উন্নয়নের কাজ আটকে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। বিষয়টিতে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে বসে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি একই কথা বলেছেন কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্যও।