‘সংস্কৃত সব থেকে বেশি ব্যবহৃত এবং বৈজ্ঞানিক ভাষা’, খড়গপুর আইআইটি-র সমাবর্তনে মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
৫০০০ বছর আগে আবিষ্কৃত এই ভাষাই হল পৃথিবীর সবথেকে বেশি ব্যবহৃত এবং বৈজ্ঞানিক ভাষা, তা কম্পিউটারেও পাঠযোগ্য।
খড়গপুর: হিব্রু নয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা হল সংস্কৃত। আর ৫০০০ বছর আগে আবিষ্কৃত এই ভাষাই হল পৃথিবীর সবথেকে বেশি ব্যবহৃত এবং বৈজ্ঞানিক ভাষা, তা কম্পিউটারেও পাঠযোগ্য। এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের। খড়গপুর আইআইটি-র ৬৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে এমনই দাবি রেখে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আইআইটি পড়ুয়াদের সামনে বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংস্কৃত-কে ‘পৃথিবীর প্রথম ভাষা’ হিসেবে মন্তব্য তো করলেনই, একই সঙ্গে বলে গেলেন, “গঙ্গা আমাদের মা। আমাদের জীবন।”
भारतीय प्रौद्योगिकी संस्थान (IIT) खड़गपुर के 65वें वार्षिक दीक्षांत समारोह 2019 में शामिल होने का अवसर मिला । एक परिवार के मुखिया के रूप में मैं यहाँ आकर अत्यंत गौरवान्वित महसूस कर रहा हूँ क्योंकि विश्व रैंकिंग में आपने 281वां स्थान हासिल किया है उसके लिए बधाई । pic.twitter.com/5DUCw56gDR
— Dr Ramesh Pokhriyal Nishank (@DrRPNishank) August 27, 2019
তাঁর কথায়, স্বদেশ চেতনার সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে বিজ্ঞান এবং জ্ঞান। মন্ত্রীর বক্তব্য, ভারতই প্রথম যোগ ও আয়ুরর্বেদ আবিষ্কার করে। এর নেপথ্যেও ‘বিজ্ঞান রয়েছে’ বলে দাবি করেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। হিমালয় নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য, এই বিরাট হিমশৈল শিবের মতো গরল ধারণ করছে। হিমালয় ‘নীলকণ্ঠ’, পৃথিবীর সমস্ত বিষপান করে দূষণ থেকে রক্ষা করছে, মন্তব্য রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের।
খড়গপুর আইআইটি-র সমাবর্তন অনুষ্ঠানেই মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য দাবি করেন, ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলেছে ভারত।
দেশে শিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে এই সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এতে লাখ লাখ ছাত্র উপকৃত হবে বলে দাবি মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য মোদী সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য, ৪২ লাখ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে উপকৃত হবে ৩ কোটি ২৭ লাখ পড়ুয়া, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৩৩ বছর পর কেন্দ্র শিক্ষানীতিতে বদল এনেছে। পাঠ্যক্রমেও আনা হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। বাজার চাদিদা অনুযায়ী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিজিটাল শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে ‘স্মার্ট ক্লাস’ চালু হয়েছে, সে বিষয়েও তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এবছর ৩৭২জন পড়ুয়াকে পিএইচচি ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে, যা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর শ্রীমন কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৮০২ জন পড়ুয়াকে বি-টেক এবং এম-টেক ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, খড়গপুর আইআইটি দেশের গর্ব। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে নেতৃত্ব উঠে এসেছে। আগামী দিনেও এই কৃতিত্ব থাকবে বলেই আশাবাদী মন্ত্রী নিশঙ্ক।