South Dinajpur: সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে বালুরঘাটে খুলল বেসরকারি স্কুল, রীতিমতো চলল ক্লাস, ব্যবস্থার আশ্বাস প্রশাসনের
বিধি ভাঙা নিয়ে আজব সাফাই অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের...
মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট: সরকারি নির্দেশিকাকে অমান্য করে বালুরঘাটে খুলল বেসরকারি স্কুল। বিধি ভাঙা নিয়ে আজব সাফাই অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের। খবর পেয়েই অবিলম্বে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন।
করোনা আবহে এখনও স্কুল কলেজ খোলার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাকে অমান্য করে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে খুলে দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি স্কুলের তালা। রীতিমতো চলছিল ক্লাস।
বুধবার বালুরঘাটের বেসরকারি স্কুল অভিযাত্রী শিশু বিদ্যানিকেতনের এই ছবি সামনে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
একদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে করোনার থার্ড ওয়েভে শিশুদের সংক্রমণ বেশি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ প্রকাশ, এই প্রেক্ষাপটে সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুল খোলা হল কেন?
এই প্রশ্নে আজব সাফাই অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের। প্রধান শিক্ষিকা রূপালি সাহা বলেন, অভিভাবকরা অনুরোধ করে যে বাচ্চারা বাড়িতে বাচ্চারা পড়াশোনা করেছে না। সেইজন্য স্কুল খোলা হোক। তাই আমরা অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে আজকে স্কুল খুলেছি।
তাঁরাই যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্কুল খোলার আবেদন জানিয়েছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, দোকানবাজার থেকে অফিস-কাছারি, সব খোলা থাকলেও, স্কুল বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন?
এক অভিভাবক মাম্পি সরকার বলেন, বাচ্চারা বাড়িতে পড়াশোনা কিছু করছে না। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলে আজ স্কুল খোলেন তারা। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, দোকান, বিভিন্ন অফিস থেকে শুরু করে সব কিছু খোলা রয়েছে। তাহলে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ কেন? বাচ্চাদের কেন ভ্যাকসিন ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এটা হলে কোন সমস্যা হতো না।
বালুরঘাটের এই বেসরকারি স্কুল খোলার খবর কানে যেতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। অবিলম্বে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, অভিযোগ শোনা মাত্র নির্দিষ্ট আধিকারিক জানানো হয়েছে। এছাড়া নির্দেশ দেওয়া হয় অতি শীঘ্রই ওই স্কুল বন্ধ করার জন্য। কেন তারা স্কুল খুলেছেন, সেই নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিন নার্সারি ও বিভিন্ন শ্রেণি মিলে ১০-১২ জন পড়ুয়া স্কুলে আসে।