Swasthya Sathi: সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অ্যাডভাইসরি জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ভর্তি রোগীকে দিতে হবে জেনেরিক ওষুধ। প্রতিস্থাপন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সরকারি রেটে বিল করতে হবে বলেও নির্দেশ অ্যাডভাইসরিতে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: 'স্বাস্থ্যসাথী কার্ড' নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের জন্য অ্যাডভাইসরি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। অ্যাডভাইসরি জারি করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অন্য সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের কার্ডও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে যদি কারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকেই বানিয়ে দেওয়া হবে কার্ড। একই নিয়ম বলবৎ করা হবে সরকারি হাসপাতালের পিপিপি মডেলের ডায়গনোস্টিক সেন্টারের ক্ষেত্রেও।
অন্যদিকে বারবার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ১৯০০ প্যাকেজের বাইরেও টাকা নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। নতুন অ্যাডভাইসরি অনুযায়ী, প্যাকেজ বহির্ভূত কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ভর্তি রোগীকে দিতে হবে জেনেরিক ওষুধ। প্রতিস্থাপন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সরকারি রেটে বিল করতে হবে বলেও নির্দেশ অ্যাডভাইসরিতে।
সোমবার উত্তরকন্যা থেকে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'শুনেছি, বহু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না। এমনটা হলে আগে চিহ্নিত করুন। দ্রুত তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে। দরকার হলে আমি তাদের লাইসেন্স বাতিল করব।'
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে উলুবেড়িয়ার সঞ্জীবন হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার চিকিৎসায় ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে রাজ্য। প্রায় ৪ হাজার করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হয়েছে ওই হাসপাতালে। সরকারের কাছে ১৪৪ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে যার মধ্যে মিলেছে ৮০ কোটি টাকা। এই বকেয়া টাকা পেতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সঞ্জীবন হাসপাতাল। সরকারকে ৭ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর, ২১ দিন হয়ে গেলেও জমা পড়েনি হলফনামা।