Suvendu Vs Partha: ‘তৃণমূল এখন দেড়জনের পার্টি’, আক্রমণ শুভেন্দুর, ‘বুঝতে ২১ বছর লাগল?’ পাল্টা শাসক দল
‘অবশেষে একজনকে পাওয়া গিয়েছে, দিলীপ ঘোষরা রেস্ট পেয়েছেন...,’ কটাক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, ‘ওনাকে বিজেপি নিয়ে ভাবতে হবে না,’ পাল্টা গেরুয়া শিবির
পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ভাইপো-অস্ত্রে লাগাতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার এক ভাইকে বিজেপিতে টেনে, আরও সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে ছুড়ে দিলেন তীব্র কটাক্ষ। বললেন, মাল-ঝালকে তুলে জিততে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে ন’বছর পর যমের দুয়ারে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান। বলছে করতে তো পারব না, চিঠি লিখে দিয়ে দাও। বলতে পারেন মন্ত্রী ছিলাম। সব ল্যাম্পপোস্ট করে রেখে দিয়েছিল। কলেজ চেয়েছিলাম দেয়নি। হরিশ চ্যাটার্জির বাইরে ভাবে না। ডায়মন্ডহারবারে জোড়া কলেজ।
আক্রমণের পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূলও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এতদিন পর বোধোদয় হল? মাঝেমধ্যে মনে হয় মাথা ঠিক আছে তো? কোনও দলকে ভাল লাগতেই পারে। তাই বলে অতীত মুছে ফেলে রাজনীতি করার চেষ্টা ঠিক নয়। সেই দলের তো অংশ ছিলেন। ১০ বছরের সাড়ে ৯ বছর মন্ত্রী, এখন বলছ ঠিক নয়।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, তাঁর গড় কাঁথিতে দাঁড়িয়েই তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। ফিরহাদ হাকিম থেকে সৌগত রায়-- সকলেই শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলে উল্লেখ করেন।
এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী ও তোলাবাজ ভাইপোর জ্যাঠামশাই এসেছিলেন। ২৪ তারিখ যা দেখিয়েছেন, তার ঘোর কাটতে সময় লেগেছে। ঘোর কাটিয়ে মাঠে নেমেছে।
এর উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই কথাগুলি বলে দলে থাকতে হবে। এটাই বিজেপিতে থাকার শর্ত। সংগঠন করতে হবে না। শুধু যে দল ছেড়ে চলে গেছে, তাকে গালাগাল দিয়ে যাও, কর্মসূচি একটাই- তৃণমূলকে গালাগাল করো। তাহলেই থাকতে পারবে।
তৃণমূলকে জবাব দিতে গিয়ে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, প্রণব বাবু ২০০৯ সালে বলেছিলেন শুভেন্দুকে জেতাও। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। ২০ টাকার পাউচ খেয়ে জর্জ ফার্নান্ডেজের টাকায় তৈরি পার্টি অফিসে বসে বললেন বিশ্বাসঘাতক। বদলা নেবেন না?
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। পার্থ বলেন, নতুন গেছেন তো তাই বদহজম হচ্ছে। ভাগ্যিস একটা লোক পাওয়া গেছে, দিলীপ ঘোষরা রেস্ট পেয়েছেন। মুকুল কোথায় গেল? দলকে যারা আক্রমণ করছে ঠিক নয়। মানুষের চোখে তারা কখনই সর্বজন শ্রদ্ধেয় হবেন না।
তৃণমূলের মহাসচিবকে আবার পাল্টা কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, পার্থবাবুকে বিজেপি নিয়ে ভাবতে হবে না। শুভেন্দু আসার আগে ১৮টা সিটে জিতেছি।
বিধানসভা ভোটের এখনও কয়েকমাস বাকি আছে। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধের পারদ এখন থেকেই সপ্তমে।