(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
রাজ্যের ৩ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বিপজ্জনক, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উদ্বেগ
সূত্রের খবর, জুলাইয়ে ১৫টা জেলায় সমীক্ষায় দেখা যায় গোটা রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার গড়ে ১.০৫ শতাংশ।
কলকাতা: রাজ্যের তিন জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বিপজ্জনক। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দ্বিতীয় পর্যায়ের সেন্টিনাল রিপোর্টে সামনে এল উদ্বেগজনক তথ্য। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার জানতে জুলাই থেকে সমীক্ষা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, জুলাইয়ে ১৫টা জেলায় সমীক্ষায় দেখা যায় গোটা রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার গড়ে ১.০৫ শতাংশ। সংক্রমণের হার ৬.৭৫ শতাংশ হওয়ায় দার্জিলিঙের করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়। অগাস্টে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টা জেলায় সমীক্ষার পর দেখা যায়, গোটা রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছে গড়ে ১.৫৮৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় পর্যায়ে দার্জিলিঙের পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি ও পূর্ব মেদিনীপুরেও করোনা সংক্রমণের হার বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে। এরপরই ওই তিনটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বাকি ৯টা জেলায় সংক্রমণের হার ১ থেকে ২.৯৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য রবিবারের পর সোমবার বেশ কিছুটা কমেছিল করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবার যদিও রাজ্যে ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩৯ জন। রাজ্যে এখন মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৯৯।
সোমবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৫৫৭ জন। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বাড়ল বেশ কিছুটা। এর আগে রবিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ৬৭৫ জন। সেই তুলনায় সোমবারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তির ছিল। তবে মঙ্গলবারে কিছুটা চিন্তা বাড়ল।
দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ জন। এরপর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৬৭ জন। এরপর রয়েছে শৈলশহর দার্জিলিং। সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ৪৬৯টি। পজিটিভিটি রেট ১.৫৮%। পশ্চিমবঙ্গে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১২ জনকে। এদের মধ্যে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৮৫ জন, সেকেন্ড ডোজ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩২৭ জন।